কলকাতা: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মঙ্গলবার মুখবন্ধ খামে আদালতে রিপোর্ট জমা দিল CBI ও ED। আর সেখানেই একাধিক তথ্য উঠে আসে। জানানো হয়, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের আটটি সম্পত্তি এবং সাড়ে সাত কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

 

এদিন বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দেন, ‘চিকিৎসকদের নিয়ে একটি টিম গঠন করবে ED, যাঁরা সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা টেস্ট করতে পারবে।’ বুধবার ED-র যুগ্ম অধিকর্তাকে আদালতে হাজির থাকার নির্দেশ দেয়। ESI হাসপাতালের এক চিকিৎসককে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুটি ক্ষেত্রেই ভার্চুয়াল মাধ্যমে হাজিরা চায় কোর্ট। ওই রিপোর্টে CBI জানায়, ‘এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি শুধুমাত্র একটি স্টাম্প। এর আড়ালে বেআইনি নিয়োগ করা হত। এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির কোনও অনুমোদন ছিল না। রেজিস্ট্রেশনের জন্য যে অনলাইন পোর্টাল করা হয়েছিল তা সম্পূর্ণ বেআইনি। এমনকী, সংস্থায় কোনও কর্মীও নেই। ২০১৪ সালের TET পরীক্ষার সমস্ত নথি নষ্ট করা হয়েছে।’

 

পাশাপাশি নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসে। সিবিআই রিপোর্টে বলা হয়, ‘সিঙ্গল রোল নম্বরে মাল্টি রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছিল যাতে আসল পরীক্ষার্থীকে চিহ্নিত না করা যায়। অয়ন শীল হলেন OMR কেলেঙ্কারিতে অন্যতম অভিযুক্ত। তিনি এখন জেলে রয়েছেন। তাকে গিয়ে জেরা করেছে CBI। ১৭টি পুরসভায় দুর্নীতি করে নিয়োগ করেছে অয়ন শীল।’

 

উল্লেখ্য, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পরীক্ষার OMR শিট দেখার পর নম্বর খতিয়ে দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানিকে। এর আগেও CBI-এর তরফে দাবি করা হয়েছিল, অযোগ্যদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রেও হাত আছে ওই সংস্থার। সংস্থার দুই কর্মী কৌশিক মাজি এবং পার্থ সেনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এর আগে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তা আর সম্ভব হয়নি। এবার কালীঘাটের কাকুকে নিয়ে নতুন নির্দেশ দিল আদালত।

 

 

Exit mobile version