এমন এক ট্রেন যা যাত্রী তোলে ঠিকই কিন্তু ট্রেনের চাকা গড়ায় না। যাত্রীদের নিয়ে কোথাও যায় না বরং দাঁড়িয়ে থাকে ব্রিজের ওপর।

 

 কেউ কখনো এমন ট্রেনের কথা শুনেছেন? এমন ট্রেন কিন্তু রয়েছে। একটি নদী, জঙ্গলের ওপর একটি ব্রিজ। তার ওপর দাঁড়িয়ে আছে একটি আস্ত ট্রেন। যাতে রয়েছে ঠিকই কিন্তু ট্রেন এতটুকুও নড়ছে না।

 

 ট্রেনের জানলা দিয়ে অবশ্য মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকা যায় ঘন্টার পর ঘন্টা। অনন্ত সবুজ বনানী দিগন্ত রেখা পর্যন্ত বিস্তৃত। যতদূর চোখ যায় শুধু সবুজ আর সবুজ।

 

 সেই অপার সবুজের বুক চিরে চলে গেছে ছোট বড় নদী।  আকাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে কত নাম না জানা পাখি। ব্রিজের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেন থেকে নিচের দিকে তাকালে কখনো নজর কাড়ে জল খেতে আসা ভাল্লুক কখনো হরিণের পিছনে ছুটতে থাকা লেপার্ড।

 

 আরও কত প্রাণী বনের মধ্যে নিজের মতো করে ঘুরে বেড়াচ্ছে, লাফাচ্ছে, ছুটছে , শিকার করছে অলস সময় কাটাচ্ছে। সব মিলিয়ে বন্যেরা বনে যে সত্যিই কতটা সুন্দর তার দুচোখ ভরে উপভোগ করার জন্য এ ট্রেনের জানলা সব সময় উন্মুক্ত।

 

  এমন একটি ট্রেন যা যাত্রীদের নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রুগার জাতীয় উদ্যানের মাঝে একটি পরিতক্ত ব্রিজের ওপর ট্রেন নড়েও না চড়েও না।

 

 আসলে বাইরে থেকে ট্রেন থেকে তবে এটি আদপে একটি বিলাসবহুল হোটেল যা ওই পরিতক্ত ব্রিজের উপর দাঁড়িয়ে থাকে। জঙ্গলকে প্রাণ ভরে উপভোগ করানোর জন্য । দিগন্ত ভোরের সূর্যের উঁকি দেওয়া দেখানোর জন্য। ডুবতে থাকা সূর্যর গোলাপি অভায় মানুষের দৃষ্টি স্থির করে দেওয়ার জন্য। 

 

 এই বুটিক হোটেলে থাকতে আসা মানুষজন প্রাণ ভরে উপভোগ করেন দক্ষিণ আফ্রিকার জঙ্গল জীবনের রাত দিন। এছাড়া হোটেলের নানারকম সুবিধা রয়েছে। রয়েছে ব্রিজের ধারে একটি সুইমিং পুলও।

 

বিকেলে এখানে একটি চায়ের আড্ডাও বসে। সব মিলিয়ে এক স্বপ্ন পূরণের হাতছানি নিয়ে ব্রিজের উপর দাঁড়িয়ে থাকে হোটেল ট্রেন ক্রুগার শালাতি।

 

 

আরও পড়ুনAam Katla Recipe: গরমে কাতলা এবং আমের যুগলবন্দী 

Exit mobile version