শুরু হয়েছে বিয়ের সিজন আর বিয়ে বাড়ি মানেই সাজগোজ, মেকাপ। তবে ত্বক নিস্তেজ থাকলে কোনও মেকাপই ভাল লাগবে না। সময়ের অভাবে পার্লারেও যাওয়া হচ্ছে না। এদিকে শুষ্ক আবহাওয়ার প্রভাবে ত্বক আরও শুষ্ক হচ্ছে। অনায়াসেই সাহায্য নিতে পারেন ঘরোয়া রেমিডির। চলুন ঘুরে আসি বাড়ির পার্লার অর্থাৎ রান্নাঘর থেকে। রান্নাঘরের কিছু সহজলভ্য জিনিসের মাধ্যমেই আপনি হয়ে উঠতে পারেন অসাধারণ।

 

 

  •  কাঁচা দুধ মাখুন

কাঁচা দুধকে আপনি প্রাকৃতিক ক্লিনজ়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। শীতের মরশুমে ত্বক নিস্তেজ দেখায়। কাঁচা দুধে তুলোর বল ডুবিয়ে নিয়ে মুখে লাগান। হালকা হাতে ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বক সতেজ দেখাবে এবং উজ্জ্বলতা বাড়বে। কাঁচা দুধ  ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে, সংক্রমণ এড়াতে সাহায্য করে কাঁচা দুধ,  ট্যান দূর করে। তবে ত্বক যদি তৈলাক্ত হয় কাঁচা দুধ ব্যবহার না করাই ভাল

 

  • টক দই এবং মধু মিশিয়ে ব্যবহার করুন-

মরসুম বদলের সময়ে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। ত্বকের উপর জমতে থাকে মৃত কোষ। এই সময়ে মুখের উপর সেই জমা কোষ পরিষ্কার করা জরুরি। সপ্তাহে অন্তত দু’বার মধু আর টক দই মিশিয়ে মাখুন। মৃত কোষ উঠে গিয়ে ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরবে। শুষ্ক ত্বকের জন্য বেশ ভাল এই প্যাক

 

  • মুলতানি মাটি , দুধ আর মধুর প্যাক:

বিয়ের দিনটি এগিয়ে আসার আগে ঘরেই কয়েক বার ফেশিয়াল করে নেওয়া দরকার। ফেশিয়াল করলে রক্ত চলাচল ভাল হয়। ত্বক ঝলমল করে।  চিন্তা করছেন কী দিয়ে ফেশিয়াল করবেন? মুলতানি মাটি ব্যবহার করুন। মুলতানি মাটির সঙ্গে কিছুটা দুধ আর মধু মিশিয়ে ফেশিয়াল করতে পারেন। মুলতানি মাটির সঙ্গে কিছুটা দুধ আর মধু মিশিয়ে ফেশিয়াল করলেই ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে

 

  • চন্দন, মুলতানি মাটি ও কস্তুরি হলুদের মিশ্রণ:

চন্দন, মুলতানি মাটি ও কস্তুরি হলুদের মিশ্রণের সঙ্গে গোলাপ জল মিশিয়ে মাখলে ত্বক করবে ঝলমল। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য খুবই উপকারি

 

  • সবজির রস:

আলু, টমেটো, গাজর, শসা ও কাঁচা হলুদ পরিমাণ মত কেটে নিন। তারপর রস তৈরি করুন। ত্বক তৈলাক্ত এবং নর্ম্যাল হলে মিশ্রণটির সঙ্গে দু এক ফোঁটা পাতি লেবুর রস যোগ করতে পারেন।

 

  • ডায়েটের দিকে নজর রাখুন:

শরীরের ভাল রাখতেই নয়, ত্বকের জেল্লা বাড়াতে বেশি করে জল খেতে হবে। কাজের ফাঁকে নিয়ম করে ‘ডিটক্স ওয়াটার’-এ চুমুক দিন। রাতে ঘুমনোর আগে শসা, পুদিনা, লেবুর টুকরো এক জগ জলে ফেলে দিন। পরের দিন  অল্প অল্প করে সেই জলে চুমক দেওয়ার অভ্যাস করুন। দিনে আড়াই থেকে তিন লিটার জল খেতেই হবে।

 

  • বিশেষ ভাবে প্রয়োজন পর্যাপ্ত ঘুমের

অতীতে পার্লারের অত চল ছিল না। প্রাচীন টোটকার ওপর ভরসা করেই মহিলারা ত্বকের যত্ন নিতেন। সারা বছর এভাবেই ত্বকের চর্চা করতে পারেন।

Exit mobile version