আঁচিল শরীরের জন্য ক্ষতিকারক না হলেও অনেক সময়ে তা বিড়ম্বনার কারণ হয়ে ওঠে। আঁচিল ভাইরাস জনিত রোগ। হিউম্যানপ্যাপিলোমাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে শরীরে ক্রমশ বাড়তে থাকে এই সমস্যা। ছোট-বড় নানা আকৃতির আঁচিলে ভরে ওঠে শরীর। কোনও কোনও আঁচিল আকারে বড় হয়। এক এক জনের ক্ষেত্রে এক এক রকম। আঁচিলের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই ওষুধ খান। কেউ আবার অভিজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে কনসাল্ট করে লেজার থেরাপিরও সাহায্য নেন। তবে লেজার থেরাপির খরচ একটু বেশি। তাই ওষুধের পাশাপাশি আঁচিল কমাতে ভরসা রাখতে পারেন ঘরোয়া প্রতিকারে।
অ্যাসপিরিন: অ্যাসপিরিন সবার বাড়িতেই থাকে। রাতে ঘুমোর আগে এইওষুধ গুঁড়ো করে নিন। তার পরে জল মিশিয়ে মিশ্রণ বানিয়ে নিন। মিশ্রণটি আঁচিলের উপর লাগিয়ে দিন। এ বার গজ দিয়ে ঢেকে সারা রাত রাখতে পারেন। অ্যাসপিরিনে স্যালিসিলিক অ্যাসিড বলে একটি উপাদান আছে। এই উপাদান সহজে আঁচিলকে বাড়তে দেয় না। নিয়মিত এই টোটকা মেনে চললে তবেই পাবেন উপকার।
অ্যাপল সাইডার ভিনিগার: পরিমাণ মত ভিনিগার নিয়ে তুলো ভিজিয়ে আঁচিলের উপর রেখে গজ দিয়ে ঢেকে রাখুন সারা রাত। পর পর পাঁচ দিন করুন। অ্যাপল সাইডার ভিনিগারে প্রচুর অ্যাসিড রয়েছে। আঁচিলের সমস্যা কমাতে অ্যাপল সাইডার ভিনিগার খুবই উপকারি।
ভিটামিন ই: ওষুধের দোকানে অল্প দামে ভিটামিন ই ক্যাপসুল পাওয়া যায়। প্রয়োজন মতো ভিটামিন ই ক্যাপসুলের তেল বার করে সেই তেল আঁচিলের উপর লগিয়ে ব্যান্ডেজ দিয়ে বেঁধে রেখে দিন। রাত্রিবেলা এই টোটকা অবলম্বন করতে পারেন।
রসুন: যে কোনও রেসিপির অন্যতম উপকরণ রসুন। রসুনের সাহায্যে যেমন রান্নার স্বাদ বাড়ানো যায় তেমন ত্বকের যত্নেও রসুন খুবই উপকারি। রসুনে রয়েছে অ্যালিসিন নামক উপাদান। অ্যালিসিন অ্যান্টি-মাইক্রোবায়াল উপাদান। রসুন থেঁতো করে আঁচিলের জায়গা লাগালেও বেশ উপকার পাবেন।