কলকাতা: বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ । তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নীচে। বেশ কিছু জায়গায় তৈরি হয় ‘কোল্ড ডে’-র মত পরিস্থিতি। বৃষ্টির সম্ভাবনাও তৈরি হয়। কলকাতা এবং সংলগ্ন এলাকাতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়। উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি এবং নদিয়াতে অপেক্ষাকৃত বেশি বৃষ্টি হয়।

 

কলকাতাতেও টানা বৃষ্টি হয় এদিন। যদিও ভারী বৃষ্টিপাত দেখা যায়নি। তবে মেঘলা দিন ও বৃষ্টিপাতের  সম্ভবনা থাকলেও কলকাতার তাপমাত্রা একধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে যায় (Temperature increased)। এদিন শহর কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ছয় ডিগ্রি কম এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে দুই ডিগ্রি বেশি। এদিন বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ছিল সর্বাধিক ৮৯ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৭১ শতাংশ।

 

এদিন টানা বৃষ্টির জেরে বর্ধমান শহরের ঝাপান তলা সহ বেশ কয়েকটি এলাকা জনমগ্ন হয়ে পড়ে। ব্যাহত হয় জনজীবন। বৃহস্পতিবার সকালে একপশলা বৃষ্টির পর বেলা বাড়লে পূর্ব বর্ধমান জেলার বিভিন্ন এলাকায় মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। টানা দু’ঘণ্টা ধরে চলে বৃষ্টিপাত। বর্ধমান শহরের প্রায় সর্বত্রই এদিন বৃষ্টিপাত হয়। বৃষ্টিতে জল জমে যায় ঝাপানতলা, পার্কাস রোড সহ নানা এলাকায়। এদিন বৃষ্টির জেরে জনজীবনে প্রভাব পড়ে। রাস্তাঘাটে লোকজন কমে যায়। বন্ধ হয়ে যায় স্বাভাবিক কাজকর্ম।

 

মেঘলা আকাশ কুয়াশা দিনের তাপমাত্রা দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ছিল স্বাভাবিকের নীচে(Temperature decreased)। বীরভূম, মুর্শিদাবাদ সহ সংলগ্ন এলাকায় এদিন কুয়াশার সতর্কতা জারি করা হয়। হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা দেখা গিয়েছিল সমস্ত জেলাতেই। এদিন দিনভর ছিল মেঘলা আকাশ এবং বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা ছিল। উপকূলের জেলাগুলিতে অপেক্ষাকৃত বেশি বৃষ্টি হয়। শুক্রবারও উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনাতে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সকালের দিকে হালকা বৃষ্টিপাত হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায়। এদিকে এদিন দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহারে ছিল ঘন কুয়াশা। আগামী চার থেকে পাঁচ দিন উত্তরবঙ্গের সমস্ত জেলাতেই কুয়াশার প্রভাব থাকবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

Exit mobile version