কথিত, শাড়িতেই নারী। নারীর আসল সৌন্দর্য্য শাড়িতেই। ব্যস্ত জীবনে শাড়ি পরতে অনেক মহিলাই অভ্যস্ত নয় আার হাল ফ্যাশনের জন্য কেউ কেউ শাড়ি পরতেও চান না। তবে এবার সুখবর। বাংলার তিনটি শাড়ি পেল GI ট্যাগ।

 

কোন তিনটি শাড়ি পেল GI ট্যাগ?
পশ্চিমবঙ্গের তিনটি হ্যান্ডলুম শাড়িকে জিআই ট্যাগ দেওয়া হল। এই তিনটি শাড়ি হল নদিয়া এবং পূর্ব বর্ধমানের টাঙ্গাইল, মুর্শিদাবাদ ও বীরভূমের কোরিয়াল এবং গরদ।

 

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে শুভেচ্ছা বার্তা

এই সুখবর সামনে আসতেই রাজ্যের শিল্পীদের শুভেচ্ছাবার্তা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandyopadhyay) । তিনি জানান,’ শিল্পীদের অভিনন্দন জানাচ্ছি তাঁদের দক্ষতার জন্য। আমরা তাঁদের জন্য গর্বিত। সকলকে অভিনন্দন’। মুখ্যমন্ত্রী এক্স হ্যান্ডেলে এই পোস্ট করেছেন। আর সেখানেই এই পোস্টে কমেন্ট করেছেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি লিখেছেন, ‘সত্যিই গর্বের মুহূর্ত।’ পাশাপাশি আরও অনেকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলার শিল্পীদের। উল্লেখ্য, জেলার একাধিক শিল্পীর এই শাড়ি শিল্পের উপর নির্ভর করেই দিন গুজরান হয়। এই স্বীকৃতিতে স্বাভাবিকভাবেই খুশি তাঁরা। জিআই ট্যাগ পাওয়ার পর তাঁদের স্বীকৃতি আরও বাড়বে বলে তাঁরা মনে করছেন।

মুর্শিদাবাদের মির্জাপুর কোরিয়াল সিল্ক শাড়ির জন্য বিশ্ব দরবারে বিখ্যাত। শিল্পীদের একাংশের আক্ষেপ ছিল, এই শাড়ি তৈরি করার জন্য শিল্পী ক্রমশ কমছে। বাংলাদেশেও এই শাড়ি তৈরি হয়। টাঙ্গাইল এবং গরদের শাড়ির সুনাম আছে বাংলার পাশাপাশি অন্যান্য রাজ্যেও।

বিশ্ববাংলার বিপণনে সঙ্গে যুক্ত এক কর্তা জানান, টাঙ্গাইলের চাহিদা তুঙ্গে। তবে অপেক্ষাকৃত এর দাম বেশি। শিল্পীরা যত্ন নিয়ে এই শাড়ি তৈরি করে এবং সেই কারণেই চড়া দামে তা বিক্রি হয়। কোরিয়ালের নামও বিশ্বজোড়া। বাংলাদেশে এই শাড়ি তৈরি হয়। তা জিআই ট্যাগ পাওয়ার পর বিশ্বে রপ্তানির ক্ষেত্রে অনেকাংশেই সুবিধা হতে চলেছে।

Exit mobile version