কলকাতাঃ আসছে বড়দিন। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ মানেই নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর পালা। এই সময়ে ছুটিতেই কাটায় অধিকাংশ জন। কেউ কেউ বাইরে বেড়াতে যান , কলকাতায় থাকলে গন্তব্য হতে পারে আলিপুর চিড়িয়াখানা, যাদুঘর, ভিক্টোরিয়া, নিক্কোপার্ক। যেখানেই যান না কেন টিকিটের লম্বা লাইন। তবে আলিপুর চিড়িয়াখানায় গেলে আর লাইনে দাঁড়াতে হবে না। অনলাইনেই পারেন টিকিট বুক করতে। তার জন‌্য খুলতে হবে যাত্রীসাথী অ‌্যাপ। তাতেই রয়েছে অনলাইনে চিড়িয়াখানার টিকিটের বুকিংয়ের ব‌্যবস্থা। বড়দিনের ছুটির আগে চিড়িয়াখানার সামনে ভিড় কমাতে যাতে দর্শকরা যাত্রীসাথী অ‌্যাপে অনলাইনে টিকিট বুক করেন, তার উপর গুরুত্ব দিচ্ছে কলকাতা পুলিশও। কারণ, চিড়িয়াখানার সামনে রাস্তায় যত ভিড় কমবে, ততই মসৃণ হবে আলিপুরের রাস্তা।

 

অনেকেরই পরিকল্পনা থাকে, চিড়িয়াখানা দেখে ভিক্টোরিয়া বা ময়দানে যাওয়ার। লালবাজারের সূত্র জানিয়েছে, দক্ষিণ কলকাতার একটি অংশ থেকে মধ‌্য কলকাতায় যাতায়াতের জন‌্য আলিপুর চিড়িয়াখানার সামনে দিয়েও যাতায়াত করে বহু গাড়ি। সেখানে গত বছরও দেখা গিয়েছে যে, চিড়িয়াখানার সামনে টিকিট কাটার জন‌্য হাজারো দর্শকের ভিড়। টিকিট কাটার লাইন চিড়িয়াখানার সামনে থেকে ফুটপাথ পেরিয়ে নেমে আসে রাস্তায়। আর সেই ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হয় ট্রাফিক পুলিশকেও।

 

আগাম ট‌্যাক্সি বুকিংয়ের জন‌্য রাজ‌্য সরকারের যাত্রীসাথী অ‌্যাপ জনপ্রিয় হচ্ছে। এবার চিড়িয়াখানার দর্শকরা যাতে বাড়িতে বসেই যাত্রীসাথী অ‌্যাপ খুলে ‘অপশন’-এ গিয়ে অতি সহজে একসঙ্গে যতগুলি ইচ্ছা, চিড়িয়াখানার টিকিট কাটা যাবে। অনলাইনে টাকা পাঠানোর পরই একটি কিউআর কোড ভেসে উঠবে মোবাইলের স্ক্রিনে। চিড়িয়াখানার গেটে দাঁড়িয়ে কিউআর কোড স্ক‌্যান করলেই অতি সহজে প্রবেশ করতে পারবেন ওই মোবাইলধারী দর্শক ও তাঁর সঙ্গীরা। ট্রাফিক পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, এই পদ্ধতি ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে। কিন্তু অনেকেই তা জানেন না। তাই প্রচারের জন‌্য ভিক্টোরিয়া ও চিড়িয়াখানার সামনে হোর্ডিং দেওয়া হয়েছে। এবার ট্রাফিক পুলিশও সোশ‌্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি প্রচার করছে। বেশি সংখ‌্যক দর্শক যাত্রীসাথী অ‌্যাপ ব‌্যবহার করলে চিড়িয়াখানার সামনে দর্শকদের ভিড় অনেকটাই কমবে বলে অভিমত লালবাজারের কর্তাদের।

 

 

Exit mobile version