দিন কয়েক শান্ত থাকার পরে বুধবার থেকে ফের উত্তপ্ত মণিপুর। মোরের লড়াই ছড়িয়েছে সমতলেও। এক দিকে কুকিরা বিষ্ণুপুরের মেইতেই গ্রামে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলিতে ৪ জনকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ। অন্য দিকে, মেইতেইরা ফের রিজ়ার্ভ ব্যাটেলিয়ানের উপরে হামলা চালিয়ে তাদের অস্ত্র লুটের চেষ্টা চালিয়েছে বলে অভিযোগ। গুলিতে জখম হন বিএসএফের এএসআই শোভরাম সিংহ, এএসআই রামজি ও কনস্টেবল গৌরব কুমার। থৌবালে রিজ়ার্ভ ব্যাটেলিয়নের শিবিরেও আক্রমণ চালিয়ে অস্ত্র লুঠের চেষ্টা চলে। রাতেই বায়ুসেনার কপ্টার পৌঁছেছে ইম্ফলে।

 

সূত্রের খবর, বিষ্ণুপুর ও কাংচুপে অন্তত চার মেইতেইয়ের মৃত্যু হয়েছে। জখম ৭ জন। বৃহস্পতিবার বিকেলে বিষ্ণুপুর জেলা ও কুকি-প্রধান চূড়াচাঁদপুর জেলার সীমানার কাছাকাছি থাকা নিংথৌখং খা খুনৌ নামে মেইতেই গ্রামে ঢুকে হামলা করে কুকি জঙ্গিরা। পরে খা খুনৌ জলাধারের কাছে উদ্ধার হয় ওইনাম আহোংজাও সিংহ, তাঁর ছেলে মণিতোম্বা সিংহ ও থৈয়াম সোমেন সিংহের দেহ। নিংথৌজাম নবদ্বীপ নামে এক জন নিখোঁজ। পশ্চিম ইম্ফলের কাংচুপে গত রাতে কুকিদের সঙ্গে লড়াইয়ে মৃত্যু হয় এক গ্রামরক্ষীর।

রাজ্যের নিরাপত্তা উপদেষ্টা কুলদীপ সিংহ বলেন, মায়ানমার থেকে জঙ্গি বা পিপলস্ ডিফেন্স ফোর্সের সদস্যরা এ পারে ঢুকে আক্রমণ করে বলে সন্দেহ হলেও প্রমাণ মেলেনি। এ দিকে মোরেতে মণিপুর কমান্ডো বাহিনী কান্নান ও ফাইচাম এলাকায় ১১টি বাড়ি, তিনটি স্কুল পুড়িয়ে দিয়েছে। কুকি-চিন-জ়ো-দের যৌথ মঞ্চ জ়ো ইউনাইটেডের অভিযোগ, এন বীরেন সিংহের সরকার আরাম্বাই টেঙ্গল ও মেইতেই জঙ্গিদের কুকি-নিধনে সরাসরি কাজে লাগাচ্ছে। কুকিদের দাবি, চিন বা পাকিস্তান স্বাধীনতার পর থেকে দেশের যে ক্ষতি করতে পারেনি, কেন্দ্র ও রাজ্যের বিজেপি সরকার তা করে দেখালো। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এ দিন বলেন, ‘‘মণিপুরে গৃহযুদ্ধ চলছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সেখানে আসার সময় পাচ্ছেন না!’’

 

 

Exit mobile version