অন্যান্য প্রতিবেশী রাজ্যে ২০২৩ এ ফের প্রবেশ করেছে করোনা। এবার দিল্লিতেও ঢুকে পড়ল কোভিডের নয়া প্রজাতি JN.1 (Corona JN1 Variant)। দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সৌরভ ভরদ্বাজ জানিয়েছেন, এক ব্যক্তির দেহে কোভিডের এই নতুন প্রজাতির হদিস পাওয়া গেছে। তবে দিল্লি বাসীকে এই ভ্যারিয়েন্ট (Corona JN1 variant) নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

 

রাজধানীতে কোভিড JN1 এর হদিস মিলতেই একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছে এমস। বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধানের সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠক করেন এমসের অধিকর্তা। জরুরি বিভাগে চালু করা হবে কোভিড স্ক্রিনিং ওপিডি। একটি ওয়ার্ডে ১২টি শয্যা রাখা হবে। গুরুতর শ্বাসকষ্ট হচ্ছে, জ্বর এবং কাশি রয়েছে এমন রোগীদের জন্য কোভিড পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে।

 

গোয়া, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র, কেরল, রাজস্থান, তামিলনাড়ু এবং তেলঙ্গানা এবং গুজরাতে আগেই পাওয়া গিয়েছে করোনার নতুন প্রজাতি (Corona JN1 variant)। এখনও পর্যন্ত দেশে ১০৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন JN1 ভ্যারিয়েন্টে। তার মধ্যে ৩৬ জন গুজরাতে, ৩৪ জন কর্নাটক, ১৪ জন গোয়া, ৯ জন মহারাষ্ট্র, কেরলে ৬ জন, ৪ জন রাজস্থানে, তামিলনাড়ুতে ৪ জন এবং তেলঙ্গানায় ২ জন। JN1 (Corona JN1 variant) আক্রান্ত বেশির ভাগ করোনা রোগী বাড়িতেই রয়েছেন। এখনও পর্যন্ত তাঁদের তেমন গুরুতর কোনও শারীরিক সমস্যা দেখা যায়নি।

গত সেপ্টেম্বর মাসে আমেরিকায় প্রথম এই ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ পাওয়া যায়। তার পর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এই প্রজতির সন্ধান পাওয়া গেছে।। চিনেও আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে হু হু করে। ভারতের কেরলে JN1-এ (Corona JN1 variant) আক্রান্ত প্রথম করোনা রোগীর সন্ধান মেলে। তার পর অন্য রাজ্যগুলিতেও ছড়িয়ে পড়ে JN1 (Corona JN1)।

 

Exit mobile version