চুল মানুষের সৌন্দর্য্যর প্রতীক। চুলের সৌন্দর্য্য মুখশ্রী বদলে দেয়। এক ঢাল খোলা চুলে বেল অথবা জুঁইয়ের মালা কিংবা একটা গোলাপ নারীর সাধারণ সাজকেও অসাধারণ করে তোলে। শুধুমাত্র খোলা চুলই নয়, পোশাকের সঙ্গে মানানসই খোঁপা বা যে কোনও ধরণের চুলের স্টাইলিং সাজাটাই বদলে দিতে পারে। চুলের খোঁপায় সোনার কাঁটা আর ছোট্ট টিপ যে কোনও অনুষ্ঠানের জন্য একদম পারফেক্ট। মুখের আদল অনুযায়ী চুলের ছাঁট যে কোনও ছেলের স্টাইলকেও দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয়। তবে চুল না থাকলে সব স্টাইলই বৃথা। ঘন চুল নারী, পুরুষ উভয়েরই প্রয়োজন। তাই সঠিক উপায়ে চুলের যত্ন করুন।

 

চুল পড়ার  কারণ

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা, সুষম খাদ্যের অভাব, হরোমন জনিত সমস্যা, থাইরয়েড, আয়রনের অভাব, রক্তাল্পতা এবং অন্যান্য কারণেও চুল উঠতে পারে।

 

কোন কোন খাবার চুলের জন্য উপকারি

শরীর ভাল থাকলে চুলের গোড়া মজবুত হবে উজ্জ্বলতাও বজায় থাকবে।

  • ডিমে আছে বায়োটিন ও প্রোটিন যা চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে।
  • বেরি তে আছে ভিটামন-সি, আয়োরন, অ্যাণ্টি অক্সিডেন্ট । রক্তাল্পতা কমায়, চুল পড়া কমায়।
  • পালং শাকে আছে ভিটামিন-A, C, ফোলেট, আয়রন । নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
  • প্রায় সমস্ত পুষ্টি উপাদানই মাছ ও মাংসে বর্তমান তাই চুলের স্বাস্থ্যর জন্য মাছ খুবই উপকারি।
  • অ্যাভোগেডোতে রয়েছে ভিটান-E, C, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা চুল বাড়তে সাহায্য করে।
  • বাদমে আছে ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন-E, জিঙ্ক, সেলিনিয়াম যা চুল পড়া রোধ করে।
  • সয়াবিন ডায়েটে রাখতে একদম ভুলবেন না। সয়াবিন চুলের গোড়া মজবুত করে।

ঘরোয়া প্যাকের সাহায্য নিতে পারেনন

  • রাতে ঘুমানোর আগে চুলে নারিকেল তেল ম্যাসাজ করুন। সকালে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
  • অ্যালোভেরা জেল চুলে ১ ঘণ্টা লাগিয়ে রেখে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি চুল পড়া কমানো ও মাথার ত্বকের চুলকানি দূর করবে।
  • ডিমের কুসুমের সঙ্গে সামান্য অলিভ অয়েল এক ঘণ্টা লাগিয়ে রেখে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। এটি চুল পড়া তো বন্ধ করবে এবং দ্রুত বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।
  • অলিভঅয়েল চুলে ম্যাসাজ করে ২০ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।
  • পেঁয়াজের রস চুলের গোড়ায় ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এর পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

 

Exit mobile version