শরীর স্বাস্থ্যর জন্য আমন্ড খুবই উপকারি। আমন্ড মধুমেহ রোগ , উচ্চ রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরল  নিয়ন্ত্রণ করে। ফ্যাট কমাতেও সাহায্য করে। আপনিও হয়ত সুস্থ থাকার জন্য আমন্ড খান কিন্তু সেই আমন্ড আসল নাও হতে পারে। আমন্ডে থাকতে পারে ভেজাল। সকাল সকাল আগের রাতে ভেজানো ৪টে আমন্ড খেলে দূরে রাখা যায় বহু রোগ ৷  জানেন কি, জনপ্রিয়তা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাজার ছেয়ে যাচ্ছে নকল আমন্ড ৷ আপনি আসল আমন্ড ভেবে বাজার থেকে নকল বাদাম কিনে আনছেন না তো? জানেন তো কী ভাবে চিনবেন নকল আমন্ড বাদাম?

 

  1. নকল বাদাম তৈরি করার পরে, তাদের ওপর রঙের পাউডার দেওয়া হয়৷ যে কারণে এটি দেখতে একেবারে আসল আমন্ডের মতো দেখায়। তাই আমন্ড কেনার সময় সেটি হাতে ঘষতে থাকুন৷ বাদামের রঙ যদি হাত বা আঙুলে উঠে আসে, তাহলে বুঝবেন সেটা নকল বাদাম।
  2. আমন্ডের রঙের দিকে মনোযোগ দিন৷ আসল এবং নকল আমন্ডের রঙের মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। আসল বাদামের রঙ হালকা বাদামি৷ নকল বাদামের গায়ে রঙের প্রলেপ দেওয়া হয়। তাই রঙ গাঢ় বাদামি হয়। এর পাশাপাশি, বাদাম জলে ভিজিয়ে রাখার কিছুক্ষণ পরে যদি সেটি জলে ডুবে যায়, তাহলে সেই বাদাম ভাল৷ খারাপ বা নকল বাদাম হলে তা জলে ভাসে।
  3. আসল-নকল বাদাম চিনতে কাগজে রেখে সেটা পেষাই করুন৷ এতে আসল বাদাম থেকে নিঃসৃত তেলে কিছু সময়ের মধ্যে কাগজ ভিজে যাবে। কিন্তু নকল বাদাম থেকে তেল বের হবে না এবং কাগজ সম্পূর্ণ শুকনো দেখাবে। এর মাধ্যমে আপনি সহজেই আসল এবং নকল বাদাম শনাক্ত করতে পারবেন।
  4. বাদাম কেনার সময়, প্যাকিংয়ের দিকে মনোযোগ দিলে, আসল এবং নকল বাদামের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারবেন। প্যাকেটের গায়ে লেখা পুষ্টিগুণ  করে পড়ে নিতে পারেন।
  5. গন্ধ এবং স্বাদ দ্বারা চিহ্নিত করুন৷ বাদাম ভেঙে তার গন্ধ নিন৷ আসল বাদামের সুগন্ধ সহজেই টের পাবেন। কিন্তু যদি বাদাম থেকে কোনো গন্ধ না আসে বা বাজে গন্ধ আসছে তাহলে জানবেন, এগুলো ভাল বাদাম নয়। এর পাশাপাশি, বাদাম খেয়েও আসল-নকল বোঝা যায়৷ আসল বাদাম খেতে কিছুটা মিষ্টি। কিন্তু, নকল বাদামের মধ্যে মাঝে মধ্যেই তিক্ত ভাব দেখা যায়।
Exit mobile version