ডায়াবেটিস, হাই প্রেশার  ঘরে ঘরে। মধুমেহ রোগের প্রকোপে খাদ্যাভ্যাসেও রাশ টানতে হয়েছে। মুখ হয়েছে তেতো। তা বলে মরসুমী খাবার থেকেও বঞ্চিত হবেন? বিট শীতকালেই উৎকৃষ্ট। ডায়াবেটিসের ভয়ে অনেকেই বিট খেতে ভয় পান। কিন্তু বিট খেলে কি সত্যিই সুগার লেভেল বেড়ে যায়?

 

  •  বিট পুষ্টির ভান্ডার। এটি ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। যেকোনও ঋতুতেই বিট খাওয়া যেতে পারে।
  • বিটে নাইট্রেট রয়েছে, যা নাইট্রিক অক্সাইডে রূপান্তরিত হয় এবং রক্তনালীগুলি প্রসারিত করতে সাহায্য করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভাল।
  • বিটে উপস্থিত ডায়েটারি ফাইবার ডায়াবেটিস রোগীদের ভাল গ্লাইসেমিক নিয়ন্ত্রণ করে হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
  •  বিটে গ্লাইসেমিক ইনডেক্সও কম, অর্থাৎ রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে বাধা দেয়। এই কারণেই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিট খুবই উপকারী।
  •  বিটে রয়েছে ম্যাঙ্গানিজ , যা ইনসুলিনের উৎপাদন বাড়াতে সহায়ক, ফলে রোগীর সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে থাকে।
  • বিট ডায়াবেটিস দূর করার পাশাপাশি মানসিক চাপ কমায়। বেশিরভাগ মানুষের  শর্করার মাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ওজন বাড়ে বা স্ট্রেসের সমস্যা বাড়তে দেখা যায়। বিট খেলে এই সমস্যাগুলি থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
  • বিট বিটালাইন এবং ফেনোলিক যৌগের ভাল উৎস। উপরন্তু, এই যৌগগুলিতে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়, যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে।
  • ডায়াবেটিসে ভুল খাদ্যাভ্যাস রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই কোনও কিছু খাওয়ার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ প্রয়োজন। তবে খাওয়ার আগে বিট খেতে হবে। কারণ বিট কিছু পরিমাণে প্রাকৃতিক শর্করা থাকে, যদি এটি খাবারের সাথে খান তবে এটি রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। সেই সঙ্গে খাবারের আগে বিট খেলে এতে উপস্থিত প্রাকৃতিক শর্করা ধীরে ধীরে শরীরে শক্তি জোগানোর কাজ করে। মনে রাখার প্রয়োজন, মাত্র আধ কাপ বিট খেতে হবে, তার বেশি নয়।

 

Exit mobile version