চলতি বছরে মুক্তি পেয়েছে অনেকগুলো নতুন ছবি। পুজোতেই মুক্তি পেয়েছে চারটি নতুন বাংলা সিনেমা। তার মধ্যে অন্যতম ‘দশম অবতার’ (Dwashom Awbottar)। সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘দশম অবতার’ সিনেমার (Dwashom Awbottar) সব গানই হিট। ‘বাউন্ডুলে ঘুড়ি’ (Baundule Ghuri) গানটি ইতিমধ্যেই ভাইরাল। গানের সঙ্গে তৈরি হয়েছে রিলসও। এই অনবদ্য সৃষ্টি যাঁর, তিনি তো বরাবরই পরিচিত কিছু ব্যতিক্রমী কাজের জন্য। সৃষ্টি অনুপম রায়ের (Anupam Roy)হলেও সৃষ্টিকে রূপ দিয়েছেন শ্রেয়া ঘোষাল (Shreya Ghoshal) এবং অরিজিৎ সিং (Arijit Singh)। অনুপম রায়ের (Anupam Roy)কণ্ঠে এই গান শুনলে কেমন হয়! এমন আশা জেগেছিল সকলেরই মনে। তাই শ্রেয়া অরিজিতের কণ্ঠে এই গানে মুগ্ধ করার পরেও আরও একবার নতুন উদ্যোগ। এ বিষয়ে কী বললেন শিল্পী অনুপম রায়?

 

তিনি বলেন, ‘আসলে শ্রেয়া আর অরিজিতের কণ্ঠে গানটা জনপ্রিয় হতে শুরু করতেই, চারিদিক থেকেই প্রচুর রিলস-ভিডিয়ো আসতে শুরু করে। আমাকেও প্রচুর মানুষ অনুরোধ করতে থাকে। অনেকেই বলেন দাদা আপনার কণ্ঠে গানটা শুনতে চাই। তখন পুজোর মধ্যে ছবি রিলিজ হচ্ছে, আমি নিজেও বিদেশে ছিলাম, তাই সেই সময় হয়ে ওঠেনি। ফিরে আসার পর এসভিএফ উদ্যোগ নেয়। এবং বলে চলো এই ভার্সনটা করি।
এই গানটা যখন তৈরি হয়েছিল তখন একা গাওয়ার কথা ভেবে তৈরিই হয়নি। ডুয়েট গাওয়া হবে ভেবে তৈরি করা হয়। আমি সত্যি বলতে শ্রেয়া, অরিজিতের ভয়েজ মাথায় রেখেই মূলত বানিয়েছিলাম। এবং ছবিতেও তিনটে চরিত্র রয়েছে। অনির্বাণ, জয়া এবং বুম্বাদা। মুখরাগুলো যেখানে অনির্বাণ-জয়ার উপর হবে। আর অন্তরা বুম্বাদার জীবনের উপর চিত্রায়িত হবে। এইভাবেই তৈরি হয়েছিল সকলের ভালোবাসার গান বাউন্ডুলে ঘুড়ি। আমার ভার্সনে সিঙ্গল গানটা গাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে মুশকিল হল গানের বেশকিছু ডায়লগ। দু’জনের কথাগুলো যদি নিজেই বলি দিই, তাহলে একটা দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। তাই আমাকে গোটা গানে মহিলা কণ্ঠের অংশটা বাদই দিতে হয়েছে। ফলে গানের ডিউরেশনও কমে গিয়েছে। মিউজিকের ক্ষেত্রে একটা গুনগুন দিয়েই শুরু হয়েছিল প্রথম গানটায়। সেক্ষেত্রে এবারে শুধু মিউজিক দিয়ে শুরু করতে হয়েছে।’

 

Exit mobile version