দূর্গাপুজো শুধুই উৎসব নয়। বাঙালির ঐতিহ্য । এই ঐতিহ্যে মিশে আছে আবেগ, পরম্পরা, সংস্কৃতি, শিল্প। দীর্ঘদিন ধরে আমাদের দেশে বিদেশি শাসন চলেছে কিন্তু কোনও শাসকই পারেনি পুজো বন্ধ করতে। হয়তো কখনও শিল্পের পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু আবেগ, রীতি অটুট । কয়েক বছর আগেও মা সর্বত্র পূজিত হতেন সাবেকি রূপে। যুগ বদলেছে, দূর্গাপুজোতেও এসেছে নতুনত্ব । বর্তমানে সাবকি পুজোর সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে থিমের পুজো । দেবীর শাড়ি, গয়না সবেতেই নতুনত্বের ছোঁয়া । কোথাও আবার প্রতিমা নিয়েও নিরীক্ষা চলে । তবুও পুজোকে কেন্দ্র উদ্যমের কোনও পরিবর্তন হয়নি । দশমী পেরোলেই আবার অপেক্ষা।

 

বঙ্গ জীবনে দূর্গোৎসব কেবল ৪দিনের নয় । ঊমা শুধুমাত্র দেবীরূপে পূজিত তা নয়, সে আমাদের ঘরের মেয়ে । বাড়ির মেয়ে বহুদিন পর বাড়ি ফিরলে যে আনন্দ হয় এই উৎসবকে কেন্দ্র করেও ঠিক একই রকমের উন্মাদনা । সারা বছরের সেরা জিনিসটা যেন এই কদিনের জন্যই তোলা থাকে ।

 

বিনোদনে আজ যুক্ত হয়েছে বহু মাত্রা । সারা বছর ধরেই চলে কোনও না কোনও উৎসব। তবুও এই মহা উৎসবের আনন্দে কোনও কমতি নেই বরং বছর বছর তা বেড়েই চলেছে । শহরের বড় বড় পুজোর আয়োজন অনেক আগে থেকেই শুরু হয়ে যায়। প্রতিমা অর্ডার দেওয়া, খুঁটিপুজো, প্যান্ডেল, মণ্ডপে ঠাকুর নিয়ে আসা এবং সব শেষে দেবীর বোধন থেকে বিসর্জনে সমিল হওয়া – সবটাই নিখুঁত আয়োজন । তবে এখানেই শেষ নয়, এরপর আছে কার্নিভাল ।

 

 

মা দূর্গা নারীশক্তি ও সৌন্দর্যের প্রতীক।এ বছরে কলকাতায় পুজোর আগেই ব্রিটিশ পিরিয়ড থেকে এখনও অবধি সব ধরণের দেবী মূর্তি দেখতে পাবেন। এমন একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে ২রা অক্টোবর থেকে ৩১শে অক্টোবর পর্যন্ত দুপুর ৩টে থেকে সন্ধ্যা ৭টা অবধি চিত্রকূট আর্ট গ্যালারিতে বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে । আদি বাংলার পৌরাণিক দেব দেবীদের চিত্র কর্মের অতুলনীয় প্রদর্শনীটি আয়োজন করেছেন চিত্রকূট আর্ট গ্যালারির কর্ণধার প্রভাস কেজরীলাল ও চারুলতার কর্ণধার আশাতীত হালদার ।

 

 

Exit mobile version