কলকাতা: অভিনেতা বিশ্বনাথ বসুর ছেলেদের হেনস্থার অভিযোগ। বিশ্বনাথের স্ত্রী দেবিকা বসু জানান, আমার ছোট ছেলে হিমায়ান বসু, বয়স আট বছর এবং তের বছর বয়সী বড় ছেলে বিশ্বায়ন বসু গত ২৫শে ফেব্রুয়ারী আমাদের বাড়ির সামনের একটি মাঠে খেলছিল এবং আমার ছোট ছেলের সেই সময়  প্রস্রাব পাওয়ায় সে একটি ফ্ল্যাট বাড়ির নিচে যে ছাদের জল পড়ার নালিটার কাছে প্রস্রাব করে। সেই সময় ওই বাড়িতে থাকা এক ভদ্রলোক আচমকা এসে তাঁর হাতটা মুচকে দিয়ে বলে ‘ এই প্রস্রাব – টা জিভ দিয়ে চেটে পরিস্কার করে দে ‘। তখন ছোট ছেলে কেঁদে উঠলে, আমার বড় ছেলে যায় এবং গিয়ে বলে ‘ কাকু ওকে ছেড়ে দাও, ওর লাগছে ‘। সেই সময় আমার ছোট ছেলে বলে ‘ আমি জল দিয়ে ধুয়ে দেবো, আমায় ছেড়ে দাও ‘। তখন ঐ ভদ্রলোক আমার বড় ছেলেকে বলে ‘ তাহলে তুই চেটে পরিস্কার করে দিয়ে যা ‘।  ছোট ছেলের হাতে লাগে এবং কেঁদে ফেলে এবং সেখানে পাড়ার লোকেরা প্রতিবাদ করায় তাদের সাথে বচসা হয়।

 

‘তারপর ছোট ছেলে বাড়িতে আসার বেশ কিছুক্ষন পর রাতের দিকে মারাত্বক ত্রমাট্রাইজ হয়ে যায়। আমরা বাড়িতে ছিলাম না। আমি আমার স্বামীর কাজে অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম এবং এই ঘটনা শুনে ফিরে আসি। ওই ভদ্রলোক জানান, এই ঘটনাটা আমার ছেলে ভয় দেখানোর জন্য করেছেন। পুলিশ এসে আমাদের পাশে দাঁড়ায়, কিন্তু আমাদের এই কেসটা তুলে নেওয়ার জন্য ওনার পাশের বাড়ির একজন আমাদের বলতে আমার স্বামীর বন্ধু আমাদের সঙ্গে থাকে তাকে একটু প্রেসারাইজড করে এবং তাঁর সঙ্গে আরেকজনও আসে, যাঁরা এই কেসটা তুলে নেওয়ার জন্য প্রেসার দেয়। গতকাল রাত্রিবেলায় ছেলের হাতের যন্ত্রণার জন্যে আমি হাসপাতালে নিয়ে যেতে বাধ্য হই। দেবী শেঠী হাসপাতাল থেকে ওর এক্স রে হয়, সেখানে হাঁড় ডিসলোকেটড না হলেও ডিসঅর্ডার হয়েছে, একটু নার্ভের ওপর চাপ পড়েছে এই রিপোর্ট হাসপাতাল আমাদের দেয়। সারারাত্রি প্রচন্ড ট্রমাট্রাইজ ছিল।

 

আজ সকালে ছোট ছেলের হাতে ব্যান্ডেজ করে পাঠানো হয় এবং তাঁর আজকে ক্লাস টু – এর ফাইনাল পরীক্ষা ছিল। স্কুল সম্পূর্ণ বিষয়টি বুঝতে পারে এবং ছেলেকে পরীক্ষার জন্য অতিরিক্ত ১৫ মিনিট সময় বেশি দেওয়া হয়। এখনও আমরা ভদ্রলোককে না চেনাতে ট্রমাটাইজ হয়ে আছি এবং ওনার পাশের বাড়ির ওই ভদ্রলোক ক্রমাগত এই কেসটা তুলে নেওয়ার জন্য বলছে।’

 

আরও পড়ুন: Snake Wine: জনপ্রিয় স্নেক ওয়াইন, আদৌ স্বাস্থ্যকর?

 

Exit mobile version