দিল্লি: তিনদিন পরে ফের কেঁপে উঠল দিল্লি-NCR এলাকা। ৩০ সেকেণ্ডে জোরালো কম্পন অনুভূত হল রাজধানীতে। সোমবার বিকেলে আবারও ভূমিকম্প হয় নেপালে। তার জের ছড়িয়ে পড়ে এই দেশেও। মাত্র ৩০ সেকেণ্ডেই দুবার ভূমিকম্প হয় দিল্লিতে। ন্যাশন্যাল সেন্টার ফর সেসিমোলজির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আজ কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৬।

 

গত শনিবার রাত ১১টা ৩২ মিনিট নাগাদ নেপালে প্রথম কম্পন হয়। তারপরই কার্যত মৃত্যু মিছিলে পরিণত হয় নেপাল। সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় যোগাযোগ ব্যবস্থা। এখনও পর্যন্ত নেপাল সরকারের তরফে ১৫৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত বহু। আশঙ্কাজনক অবস্থায় এখনও অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি।

 

শনিবার কম্পনের জের ছড়িয়ে পড়ে এ দেশের একাধিক রাজ্যে। দিল্লি ছাড়াও ভূমিকম্প হয় উত্তর ভারতে। প্রবল কম্পনে কেঁপে ওঠে উত্তরাখন্ড, উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, হিমাচলপ্রদেশ সহ একাধিক অঞ্চল। রিখটার স্কেলে সেদিন কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৪। আজ বিকেলেও রাজধানীর বাড়ি ঘর, বিছানা, সিলিং ফ্যান কেঁপে ওঠে। আতঙ্কিত বাসিন্দারা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রতিবেশি দেশকে সব রকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ইতিমধ্যেই বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের তত্ত্বাবধানে পাঠানো হয়েছে ত্রাণ সামগ্রী।

 

জনৈক ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞর মতে, “সাধারণ মানুষকে প্রস্তুত এবং সতর্ক থাকতে হবে। যে কোনও মুহুর্তে বিধ্বংসী ভূমিকম্প হতে পারে হিমালয় অঞ্চলে”। গগনচুম্বী অট্টালিকার চাপেও বাড়ছে কম্পনের আশঙ্কা। বিশেষজ্ঞদের মতানুায়ী ভারতীয় টেকটনিক প্লেট ও ইউরেসিয়ান প্লেটের সংঘর্ষের ফলে বারবার ভূমিকম্পের সৃষ্টি হচ্ছে। ভারতীয় টেকটনিক প্লেট ক্রমশ উত্তর দিকে সরে যাচ্ছে । ফলে ভবিষ্যতেও প্রবল ভূমিকম্পের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

 

Exit mobile version