দেশে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে করোনার (Corona Virus) নয়া স্ট্রেন। বর্তমানে JN1 আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩। ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের একাধিক রাজ্যে থাবা বসিয়েছে এই ভ্যারিয়ান্ট। বড়দিনের দিন এই পরিসংখ্যান রীতিমতো উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

 

কোন রাজ্যে JN1-এর থাবা সবচেয়ে বেশি?

বেশি সংখ্যক JN1 আক্রান্তের হদিশ মিলেছে গোয়ায়। সেখানে মোট ৩৪ জনের শরীরে এই ভাইরাসের অস্তিস্ব মিলেছে। এ ছাড়া মহারাষ্ট্রে JN1-এ আক্রান্ত হয়েছেন ন’জন। কর্নাটকে আট জন, কেরালায় ছয় জন, তামিলনাড়ুতে চার জন এবং তেলঙ্গানায় দু’জন আক্রান্ত হয়েছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মোট ৬২৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। দেশে এই মুহূর্তে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৪ হাজার ৫৪ জন। সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ধরা পড়েছে কেরালাতে। এই রাজ্যেই অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার। দেশে একমাত্র করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে কেরালায়। কর্নাটকে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৪ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ২৭১। যার মধ্যে ২৫৮ জন হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। বাকি ১৩ জন ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে।

 

মহারাষ্ট্র সুপার স্প্রেডার?

মহারাষ্ট্রে একদিনে করোনায় (Corona Virus) আক্রান্ত হয়েছেন ৫০ জন। তার মধ্যে ন’জনের শরীরে মিলেছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট। যা নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে । এই রাজ্যের প্রতি ১০ জনে প্রায় দু’জন করে করোনার JN1-এ আক্রান্ত হচ্ছেন। মহারাষ্ট্রের থানেতে পাঁচজন, পুনেতে দু’জন, অকোলা, সিন্ধুদুর্গ এবং পুনের গ্রামীণ এলাকায় একজন করে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে কি কোনওভাবেই সুপার স্প্রেডার হয়ে উঠতে পারে মহারাষ্ট্র? ইতিমধ্যেই রাজ্যের হাসপাতালগুলিকে আইসোলেশন বেড, ভেন্টিলেশন, অক্সিজেন সিলিন্ডার পর্যাপ্ত পরিমাণে বন্দোবস্ত করে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী।

কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ বলেন, ‘সিঙ্গাপুর প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে সে দেশের বিমানবন্দরে টেস্টিংয়ের সময় মোট ১৯ জন ভারতীয় যাত্রীর শরীরে কোভিডের নয়া স্ট্রেনের অস্তিত্ব মিলেছে। ফলে আগামীদিনে এই JN1 প্রজাতির করোনা আরও সংক্রমিত হবে তা অনুমান করা যাচ্ছে।’

 

ডিসেম্বরেই কেন প্রকোপ বাড়ে করোনার (Corona Virus) ?

ঠান্ডা, শুষ্ক আবহাওয়া করোনার আতুঁর ঘর। শুষ্ক ও ঠান্ডা আবহাওয়ায় ভাইরাসের বাড়বাড়ন্তের জন্য আদর্শ। উত্তর গোলার্ধের দেশগুলিতে প্রভাব পড়ে করোনার। গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা কমে যাওয়া ও শুষ্ক বাতাসের কারণে হু হু করে ছড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাস। চীনের সিচুয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ ইউনিভার্সিটির গবেষকরা একই ধরনের তত্ত্ব প্রমাণ করেছেন। তাঁদের গবেষণা অনুসারে, যারা নিয়ন্ত্রিত উষ্ণ পরিবেশে থাকেন তাদের তুলনায় যারা ঠান্ডা আবহাওয়ায় বসবাসরতদের করোনা ভাইরাসের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

 

Exit mobile version