কেরল: গতকাল শনিবার কোচিন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি তে ছিল নিকিতা গান্ধী কনসার্ট।  কনসার্টে যাদের কাছে পাস ছিল তাদেরই একমাত্র প্রবেশের অনুমতি ছিল। অডিটোরিয়ামের বাইরে ছিল লম্বা লাইন এবং তাদের কারোর কাছে পাস ছিল না। অডিটোরিয়ামে প্রবেশ এবং বেরনোর জন্য একটি গেট খোলা ছিল। অডিটোরিয়ামে প্রায় এক হাজার জনের ব্যবস্থা ছিল।

 

কনসার্ট শুরুর আগেই  বৃষ্টি নামে। স্থানীয় সূত্রমতে, এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পেছনে রয়েছে আরও একটি কারণ। প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থীরা প্রথমে প্রবেশ করবেন বলে ঘোষণা করেছিলেন অনুষ্ঠানের আয়োজকেরা। অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা অডিটোরিয়ামের ভেতরে  প্রবেশের জন্য অস্থির হয়ে ছিলেন। বৃষ্টি শুরু হলে বিশৃঙ্খলার সুযোগে লাইন ভেঙে ভেতরে প্রবেশের সুযোগ দেখতে পেয়ে সেটাই করেছিলেন তাঁরা। এর ফলেই ঘটে মৃত্যুর মতো দুর্ঘটনা। হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হওয়ায় বাইরের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অপেক্ষারতদের মধ্যে ধাক্কধাক্কি শুরু হয়। কয়েকজন মাটিতে পড়ে যায়। তাদের গায়ের ওপর দিয়েই চলে যায় বাকিরা। আর এভাবেই চার শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়।

 

অডিটোরিয়ামে প্রবেশের ধাপগুলো অনেক বেশি খাঁড়া। ফলে দৌড়ে যাওয়ার সময় কয়েকজন ছাত্র ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে ছিলেন। কেরালার মুখ্যমন্ত্রী  গতকাল রাতে মন্ত্রীদের জরুরি বৈঠক ডাকেন। সেখানে শিক্ষার্থীদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করা হয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীনা জর্জ আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলোর সমন্বয় করবেন বলে এ সময় জানান মুখ্যমন্ত্রী। হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৩০ জনেরও বেশি।

 

২৪ থেকে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত এটি চলার কথা ছিল। কনসার্টের মূল আকর্ষণ ছিল গায়িকা নিকিতা গান্ধী। এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন তিনি। ইনস্টাগ্রাম পোস্টে এ গায়িকা লিখেছেন, ‘আজ বিকালে কোচিতে যা ঘটেছে তাতে আমি বিধ্বস্ত ও শোকস্তব্ধ। আমি পারফরম্যান্সের জন্য গন্তব্যে পৌঁছনোর আগেই এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গেল। আমার দুঃখ বর্ণনা করার মতো শব্দ নেই; মৃত শিক্ষার্থীদের পরিবারের জন্য প্রার্থনা রইল’।

 

 

Exit mobile version