কলকাতা: ২২ তারিখ রামমন্দির উদ্বোধনের দিন রাজ্যে সংহতি মিছিলের ডাক দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandyopadhyay)। এদিন হাজরা থেকে মিছিল করে পার্ক সার্কাসে গিয়ে সভা করার কথা ঘোষণা করেন তিনি। এবার এই মিছিল আটকানোর জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি নিজের আবেদনে জানিয়েছেন, ওই দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandyopadhyay) পার্ক সার্কাস থেকে মিছিল করলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিঘ্নিত হতে পারে। আর এই মর্মে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করার আবেদন করেছেন তিনি। ইতিমধ্যেই মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে বিচারপতি হরিশ টন্ডন ও বিচারপতি মধুরেশ প্রসাদের ডিভিশন বেঞ্চ। আগামীকাল এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা আছে।

 

মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandyopadhyay) ফের বার্তা দিয়েছিলেন, ‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার’। এরপরেই তিনি ঘোষণা করেন, ২২ জানুয়ারি একটি মিছিল করতে চলেছেন তিনি। প্রথমে তিনি সকালে একাই কালীঘাটের মন্দিরে যাবেন। সেখানে তিনি মা কালীর কাছে প্রার্থনা করবেন।

 

এরপর পার্ক সার্কাস ময়দান থেকে একটি সমস্ত ধর্ম সমন্বয় মিছিল করতে চলেছে। হাজরা থেকে  মসজিদ ,মন্দির, গির্জা, গুরুদ্বার ঘুরে একটি মিছিল যেতে চলেছে। সমস্ত ধর্মের মানুষজনদের নিয়ে এদিনের সম্প্রীতি মিছিল করা হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিটি ব্লকে বেলা ৩টে নাগাদ হতে চলেছে একটি সম্প্রীতি মিছিলও। তা তৃণমূলের কর্মসূচি হবে বলে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী । রামমন্দির উদ্বোধন প্রসঙ্গে এর আগে জয়নগরের একটি সরকারি অনুষ্ঠান থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Bandyopadhyay) বলেছিলেন, ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। যে উৎসব একতার কথা বলে আমি তাতে বিশ্বাস করি।’ অন্য কোনও সম্প্রদায়ের মানুষকে অবহেলা করা কোনও কাজ নয় বলেই মন্তব্য করেছিলেন তিনি।

 

পাশাপাশি তিনি থাকাকালীন অন্যান্য সম্প্রদায়ের মধ্যে কোনও বিভাজন তিনি হতে দেবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Bandyopadhyay) এই ঘোষিত মিছিল নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা চলছিল। এরই মধ্যে বিষয়টি গড়াল আদালত পর্যন্ত। এই বিষয়ে ঠিক কী নির্দেশ দেবে আদালত? সেই দিকে নজর সমস্ত মহলের।