কৃষ্ণনগর: বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। অঞ্চল ভিত্তিক কিছু উৎসব আছে যা দেখতে সামিল হয় আশেপাশের অঞ্চলের মানুষও। যেমন কৃষ্ণনগর, চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো। এই পুজোর জন্য সারা বছর অপেক্ষা করে থাকে বাংলার মানুষ। কলকাতা এবং অন্যান্য জেলায় জগদ্ধাত্রী পুজো হলেও কৃষ্ণনগর, চন্দননগর জগদ্ধাত্রী পুজোর জন্যই বিখ্যাত। আলোর মালায় সেজে উঠেছে শহর। প্রত্যেক বছর প্রতিমা এবং আলোক সজ্জা দেখার জন্য ভিড় জমায় লক্ষ লক্ষ মানুষ। কিছু কিছু জায়গায় থিমের সাজ থাকলেও সাবেকিয়ানাই এখানকার প্রধান ঐতিহ্য।

 

এবছর রেকর্ড জনজোয়ার কৃষ্ণনগরে। সন্ধ্যা নামতেই অপূর্ব শিল্পশৈলী দেখতে জনতার ঢাল আছড়ে পড়ছে মণ্ডপে মণ্ডপে। অতীতের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে এই বছরের ভিড়। বুধবার ও বৃহস্পতিবার পুজোর ভাসান ঘিরে বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাসে মাততে চলেছে শহরবাসী। বুধবার সকাল ১০টা থেকে ঘট বিসর্জন শুরু। সন্ধ্যা থেকে শুরু হবে প্রতিমা নিরঞ্জন। কাঁধে করে প্রতিমা নিরঞ্জন দেওয়া হবে কদমতলা ঘাটে। বিশেষ কিছু প্রতিমার জন্য পরীক্ষামূলক ভাবে থাকছে গ্রিন করিডোরের ব্যবস্থা।

 

প্রশাসনের তরফ থেকে পুজোর অন্যান্য দিনের তুলনায় বিসর্জনের দিন নিরাপত্তা বাড়নো হয়েছে। নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে দেওয়া হয়েছে কৃষ্ণনগর। বাড়তি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। থাকছে ৫০ টি সিসি ক্যামেরা। ড্রোন দিয়ে চলবে বিশেষ নজরদারি। ডিএসপি এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার আধিকারিকরা নজরদারির দায়িত্বে থাকবেন। মহিলাদের নিরাপত্তার কথা ভেবে মহিলা বাহিনী নিযুক্ত করা হয়েছে। তবে সময়ের মধ্যে প্রতিমা ভাসান সম্পূর্ণ হবে কিনা তা নিয়ে চিন্তিত প্রশাসন।