আজ রবিবার ছিল প্রাথমিকের টেট পরীক্ষা (Primary TET Exam)। সেই পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (West Bengal Board Of Primary Education)। বেলা ১২টায় পরীক্ষা শুরু হওয়ার পরই প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ঘিরে ফের  শুরু হয়েছে বিতর্ক। এমনকি ফাঁস হওয়া প্রশ্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে বলে দাবি পরীক্ষার্থীদের একাংশের।

 

প্রাইমারি টেটের (Primary TET) নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে একাধিক বার । এই অবস্থায় চাকরিপ্রার্থীদের প্রস্তুতির একটি পেজে ঘুরছিল একটি প্রশ্নপত্র। পরীক্ষার্থীদের দাবি, এই প্রশ্নপত্রের সঙ্গে টেটের ‘A’ সেটের প্রশ্নপত্রের মিল রয়েছে। এই অভিযোগ সামনে আসার পর থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। নিরাপত্তার এত কড়াকড়ি থাকা সত্ত্বেও কীভাবে ফাঁস হল প্রশ্ন? এমন একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

 

পরীক্ষার্থীদের বক্তব্য অনুযায়ী, পরীক্ষার প্রশ্ন অন্যান্যবারের তুলনায় কঠিন হয়েছে। যে প্রশ্ন ভাইরাল হয়েছে দেখলাম পরীক্ষায় হুবহু এক প্রশ্ন এসেছে। রাজ্যে নিয়োগ  নেই। আগে প্রত্যেকটা পরীক্ষার পর মামলা হত। এবার প্রশ্নপত্র ফাঁস করে নিয়োগ আটকে দেওয়া চেষ্টা হচ্ছে।  শিক্ষিত বেকার বাড়ছে। পরীক্ষার হল থেকে বেরিয়ে এই কথা শুনে অনেক পরীক্ষার্থী অবাক। তাদের মতে প্রশ্নপত্র ফাঁস হলে সেটা অবশ্যই অন্যায়। এখনও স্পষ্ট করে কিছু বোঝা যাচ্ছে না। কিছু অসাধু মানুষ আগে থেকে প্রশ্ন পেয়ে যাচ্ছেন। এটা একদমই হওয়া উচিত নয়। যাঁরা আইনশৃঙ্খলা সামলান, তাঁরাই বলতে পারবেন। এর আগে টেট পরীক্ষায় পাশ করেও অনেকেই চাকরি পাইনি। সরকার যাতে দ্রুত নিয়োগ করে, সেই আশায় আবারও তারা পরীক্ষায় বসে ছিলেন।

 

পর্ষদের দাবি

পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র ফাঁসের কথা অস্বীকার করেছে পর্ষদ। পর্ষদের দাবি, প্রশ্নপত্রফাঁসের কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। পর্ষদকে কালিমালিপ্ত করার জন্য এই কাজ করা হয়ে থাকতে পারে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছে, গোটা বিষয়টি তদন্ত করা হবে। ফলপ্রকাশ নিয়েও এখনও নির্দিষ্ট দিনক্ষণের কথা জানায়নি পর্ষদ।