বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ হলেও দুর্গাপুজো আমাদের শ্রেষ্ঠ উৎসব। এই পুজো এখন কেবল বাঙালিদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে উৎসবের আলো। অতীতে বনেদি পরিবারগুলো সবাই একজোট হয়ে বাড়িতে পুজো করত। প্রতিটা পরিবারের কিছু আলাদা রীতি ছিল। সেই প্রথা অনুযায়ী এখনও তাদের বংশধরেরা পুজো করে আসছেন। , দত্তপুকুর শিবালয়ের বুড়িমার পুজো তাদের মধ্যে অন্যতম।

 

 

 

 

 

কথিত , দত্তপুকুর শিবালয়ের রায় পরিবারের বুড়িমার পুজো ৩৫৩ বছরের। রাজা কৃষ্ণ চন্দ্র রায় একদিন শিকারে বেরিয়ে ছিলেন। ফেরার সময় ঝড়বৃষ্টির রাতে নৌকার মধ্যে তিনি তন্দ্রাচ্ছন্ন  অবস্থায়  স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন মন্দির প্রতিষ্ঠা করার। কৃষ্ণ নগরেও রয়েছে এই মূর্তি,যা নৃসিংহ রূপে পূজিত হয়। অর্থাৎ আট হাত চুলের ভেতরে লুকানো থাকে, এবং দুই হাত সামনে থাকে। এই মা দুর্গা সিংহ বাহিনী নয়, থাবাটা সিংহের হলেও দেহটা ঘোড়ার। অষ্টমীর দিনে গন্ডি কেটেছেন প্রায় ২০০০ মানুষ। এছাড়া ও সারাদিন রয়েছে অগণিত ভক্তদের যাতায়াত। মানত করলে সেই মানত অবশ্যই পূরণ হয়। মহালয়ার সাতদিন আগে পুজোর ঘট বসে,তখন থেকেই পুজো শুরু হয়ে যায়।ঘট বসার দিন থেকেই ভোগ, আরতি, চণ্ডীপাঠ হয়। বাড়িতে সম্পূর্ণ নিরামিষ রান্না। সতেরো দিন ধরে পুজো হয় এবং ভোগ রান্না হয়। বুড়িমার পুজো সবার পুজোর আগে হয় এবং বিসর্জনও হয় সব প্রতিমার আগে ।