কলকাতা: আলোর উৎসব দীপাবলী। অমাবস্যা তিথিতে কালি পুজো হলেও কৃত্রিম আলোয় ঘুচে যায় সব অন্ধকার। বাতাসে আতস বাজির গন্ধ। দীপাবলির সঙ্গে আতস বাজির সম্পর্ক নিবিড়। এ বছর শব্দের মাত্রা বাড়ানো হয়েছে। বাজি পোড়ানোর ক্ষেত্রে বিধি বেঁধে দিয়েছে সরকার। নির্দিষ্ট শব্দ সীমার মধ্যে পোড়াতে হবে বাজি। বেরিয়াম যৌগ ঘটিত কোনও বাজি পোড়ানো যাবে না। এই নিষেধ শুধু বাংলায় নয়, দেশের যে কোনও জায়গাতেই প্রযোজ্য। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নিয়ম অনুযায়ী কোনও রকম নিষিদ্ধ রাসায়নিক সমৃদ্ধ বাজিও ব্যবহার করাও চলবে না। পরিবেশ রক্ষার জন্য কেবল সবুজ বাজির ক্ষেত্রেই ছাড় দেওয়া হয়েছে।

 

সে ক্ষেত্রে বাজির বাজারে গিয়ে আপনি বুঝবেন কীভাবে সবুজ বাজি কিনছেন? কলকাতায় এই তথ্য সম্বন্ধে জনগণ কতটা সচেতন?

 

পরিবেশ নিয়ে কর্মরত সংস্থার সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী –

  • সবুজ বাজি কিনছেন কিনা সেই বিষয়ে নিশ্চিত নন ৭৭ শতাংশ মানুষ
  • ব্যবহার যোগ্য শুধুই সবুজ বাজি এই তথ্য জানেন ৭৫ শতাংশ
  • সবুজ বাজি ছাড়া অন্য সব বাজি নিষিদ্ধ তা জানেন না ৬১ শতাংশ জনগণ
  • সবুজ বাজি ছাড়া অন্য বাজি কিনব না এমন মানসিকতা ৪২ শতাংশর
  • কোন ধরনের বাজি কিনবেন সেই বিষয়ে নিশ্চিত নন ২৭ শতাংশ নাগরিক
  • বাজি পোড়ানোর সময় রাত ৮টা থেকে ১০টা তা জানেন না অনেকেই

তবে ব্যবসায়ীদের বক্তব্য অনুযায়ী বাজারে সব বাজি সবুজ বাজি নয়। অধিকাংশ লোক সবুজ বাজি চেনেনই না। সরকারি লাইসেন্স নেই এমন দোকানে সবুজ বাজির সংখ্যা ২৫ শতাংশর কম। দাম খুব বেশি বলে অনেকের নাগালের বাইরে। কলকাতা পুলিশের বক্তব্য অনুযায়ী সবুজ বাজি ছাড়া যাতে অন্য কোনও বাজি না ফাটে সে বিষয়ে কড়া নজরদারি চলছে। যারা বাজি পরীক্ষা করছে তাদের বিশেষ প্রশিক্ষণ রয়েছে।