হাওড়া: কলকাতা এবং হাওড়া এই দুই জেলার সংযোগ করেছে দ্বিতীয় হুগলি সেতু। ১৯৯২ সালে ১০ই অক্টোবর ব্রিজের ওপেনিং হয় এবং তারপর থেকেই দুই জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নত হয়। সময় সরণিতে পার হয়েছে অনেকগুলো বছর। বয়স বাড়লে মানুষের শরীরে যেমন বাসা বাঁধে রোগ, প্রয়োজন হয় চিকিৎসার ঠিক তেমনি সেতুরও মাঝে মাঝে চিকিৎসার প্রয়োজন।

 

আজ থেকে শুরু দ্বিতীয় হুগলি সেতু সংস্কারের কাজ। প্রথমে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছিল এই অঞ্চলে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। তাহলে কি যানজট বাড়বে? তবে আজ অর্থাৎ সংস্কার কাজের প্রথম দিনে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়নি। ফলে স্বাভবিক গতিতেই এগোচ্ছে গাড়ি।

 

কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে ছয় লেনের মধ্যে দুই লেন দিয়ে যাবে ছোট গাড়ি। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ , বেলঘরিয়া এক্সপ্রেস, ভিআইপি রোড, বিটি রোড দিয়ে ঘুরবে বড় গাড়ি। যেসব পণ্যাহী ট্রাক ও গাড়ি কলকাতা থেকে বিদ্যাসাগর সেতু যবে তাদের নিবেদিতা সেতু হয়ে ঘুরতে হবে। ডিএল খান রোড থেকে আসা ভারি ও মাঝারি পণ্যবাহী গাড়িগুলো হসপিটাল রোড, কেপি রোড, মেয়ো রোড হয়ে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড় হয়ে নিবেদিতা সেতুতে যাবে। এক্সাইড ক্রসিং এজেসি বোস রোড হয়ে আসা ভারি এবং মাঝারি পণ্যবাহী গাড়িগুলো চৌরঙ্গি, ডোরিনা ক্রসিং, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়, টালা ব্রিজ, ডানলপ হয়ে নিবেদিতা সেতু যাবে।

 

তবে কলকাতা বন্দরের বেশ কিছু গাড়ি রাত ১২ টার পর দ্বিতীয় হুগলি সেতু পর করবে। আট মাস ধরে চলবে সেতুর কাজ। চাপ বাড়বে নিবেদিতা সেতুর ওপর।