অযোধ্যায় রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠায় যোগ দেওয়ার আগে শুক্রবার থেকে ১১ দিনের জন্য ব্রত পালন শুরু করেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রের খবর, রামমন্দিরের উদ্বোধনে যোগ দেওয়ার আগে সন্তদের উপদেশ মেনে এই ১১ দিন তিনি কঠোর অনুশাসন মেনে চলছেন। কৃচ্ছ্সাধনের সঙ্গে থাকছে জপ, ধ্যান এবং পূজাপর্ব। সেই সঙ্গে থাকছে যোগচর্চা।রামমন্দির উদ্বোধনের আগে পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর বাংলোর মেঝেতেই শোবেন তিনি। ১১ দিনের ব্রতপালন পর্বে ভোরের ‘ব্রাহ্মমুহূর্তে’ শয্যাত্যাগ করবেন মোদী (Narendra Modi)। এর পর চলবে যোগ, শরীরচর্চা এবং ধ্যানপর্ব। ‘ব্রতকথা’র নিয়ম মেনে দিনের বেশ কিছু সময় ‘নীরব’ থাকবেন মোদী (Narendra Modi)। পালন করবেন মৌনতা। পূজার্চনার পাশাপাশি, ১১ দিন ধরে নিয়মিত নানা হিন্দু ধর্মগ্রন্থ পাঠ করবেন তিনি।

 

‘ব্রতপালন’ পর্বে মোদীর খাদ্যতালিকাতেও থাকবে ধর্মীয় রীতির ছোঁয়া। প্রধানমন্ত্রী এমনিতেই নিরামিষাশী। শুক্রবার থেকে তাঁর খাবার তালিকাকে আরও সাত্ত্বিক করে তোলা হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রকাশিত খবরে জানানো হয়েছে। শুক্রবার তাঁর ব্রতপালন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “রামমন্দিরে প্রাণপ্রতিষ্ঠা হতে আর মাত্র ১১ দিন বাকি। প্রাণপ্রতিষ্ঠার সময় ভারতবাসীর প্রতিনিধিত্ব করতে ঈশ্বর আমাকে প্রস্তুত করেছেন। এ কথা স্মরণে রেখে আমি আজ থেকে ১১ দিনের বিশেষ ব্রতপালন শুরু করছি।” যদিও ইতিমধ্যেই দেশের চার শঙ্করাচার্য রামমন্দির উদ্বোধন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। হিন্দুধর্মের চার শীর্ষস্থানীয় সন্তের অভিযোগ, রামমন্দিরের নির্মাণ এখনও শেষ হয়নি। তাই সেখানে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা হিন্দুধর্মের রীতিবিরোধী।