মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Bandyopadhyay) একটা প্রস্তাবের জন্যই ইন্ডিয়া জোট ভেঙে বেরিয়ে গেলেন নীতীশ কুমার(Nitish Kumar)। কংগ্রেস তাঁকে দিয়ে ষড়যন্ত্র করিয়েছে। এমনটাই দাবি করছে JDU। ঘুরে ফিরে সেই কংগ্রেসের দিকেই আঙুল তোলা হচ্ছে ইন্ডিয়া জোটের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়ে। JDU-র তরফেও তাদের সরাসরি আক্রমণ করা হচ্ছে। নীতীশের(Nitish Kumar) দলের নেতা কে সি ত্যাগী আবার কাঠগড়ায় তুলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকেও। কংগ্রেস তাঁকে দিয়ে ষড়যন্ত্র করিয়েছিল বলে বিস্ফোরক দাবি করেছে JDU। তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে(Mamata Bandyopadhyay) দিয়ে মল্লিকার্জুন খাড়গের নাম ইন্ডিয়া জোটের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে প্রস্তাব করানো হয়েছিল। সেটা ছিল একটা ষড়যন্ত্র। আসলে ইন্ডিয়া জোটের নেতৃত্ব নিজেদের কুক্ষিগত করে রাখতে চেয়েছিল কংগ্রেস। গত ১৯ ডিসেম্বর একটি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Bandyopadhyay) তরফে মল্লিকার্জুন খাড়গের নাম প্রধানমন্ত্রী মুখ হিসেবে প্রস্তাব করা হয়। তবে মুম্বইয়ে যে বৈঠক হয়েছিল সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছিল ইন্ডিয়া জোট আপাতত কোনও মুখ ছাড়াই লোকসভা ভোটে লড়বে।’

 

কংগ্রেস আসন সমঝোতা নিয়েও বড্ড ধীর গতিতে এগিয়েছে। এ কথাও জানিয়েছে JDU। কে সি ত্যাগীর কথায়, ‘প্রত্যেকটা দল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে নিজেদের মতো করে লড়তে শুরু করেছে। কংগ্রেস আসন সমঝোতা নিয়ে বড্ড ধীর গতিতে এগোচ্ছিল। আমরা বারবার বলেছি, আসন সমঝোতা দ্রুত হওয়া প্রয়োজন। BJP-র বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ইন্ডিয়া জোট কোনওভাবেই প্রস্তুত নয়।’প্রসঙ্গত, গত ১৯ ডিসেম্বরের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই (Mamata Bandyopadhyay)মল্লিকার্জুন খাড়গের নাম দলিত মুখ হিসেবে প্রস্তাব করেন। পরবর্তীতে তাঁকেই চেয়ারপার্সন করা হয় ইন্ডিয়া জোটের। প্রথমে অবশ্য এই জোটের কনভেনর পদ অফার করা হয় নীতীশ কুমারকে(Nitish Kumar)। তবে সূত্রের খবর, তিনি সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। নীতীশের(Nitish Kumar) ইন্ডিয়া জোটের ছাড়ার কারণগুলি এক এক করে উল্লেখ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যার (Mamata Bandyopadhyay) মল্লিকার্জুন খাড়গের নাম প্রস্তাবকেই প্রধান আপত্তির জায়গা হিসেবে তুলে ধরেছে JDU।