লোকসভা ভোটের আগে সংসদের শেষ অধিবেশন। রাষ্ট্রপতির ভাষণে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করতে উঠে বিরোধীদের কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(Narendra Modi)। সোমবার তাঁর ভাষণে আগাগোড়াই কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন মোদী। একইসঙ্গে তাঁর ইন্ডিয়া জোট নিয়ে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও(Mamata Bandyopadhyay) কটাক্ষ করেন।

 

এদিন সংসদের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কিছুদিন আগে ভানুমতীর পরিবার তৈরি করেছিল। তারপর আবার দেখলাম একলা চলো নীতী নিয়ে ফেললেন।’ নরেন্দ্র মোদীর এই বক্তব্যে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই(Mamata Bandyopadhyay) নিশানা করা হয়েছে, তা বলাই বাহুল্য। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Bandyopadhyay) জানিয়েছেন তিনি একলা চলো নীতিতে লোকসভায় লড়বেন। কংগ্রেসের সঙ্গে তিনি কোনওরকম সমঝোতায় জেতে নারাজ। বাংলায় ইন্ডিয়া জোটের আসন ভাগাভাগি কার্যত অনিশ্চিত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের( Mamata Bandyopadhyay)সঙ্গে জোটে যাবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে সিপিআইএম (CPIM)।

 

অন্যদিকে, আবার পঞ্জাব এবং হরিয়ানাতে আসন ভাগাভাগি করবে না বলে সাফ জানিয়েছে আম আদমি পার্টি। উত্তর প্রদেশে আসন সমঝোতা হলেও কেন ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায় সমাজবাদী পার্টিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি তা নিয়ে কংগ্রেসের উপর গোঁসা করেছেন অখিলেশ যাদব। তার উপর ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম মূল কাণ্ডারি নীতীশ কুমারের ডিগবাজি বড়সড় ধাক্কা দিয়েছে বিরোধী শিবিরকে। সব মিলিয়ে নড়বড়ে অবস্থা ইন্ডিয়া ব্লকের। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

এ প্রসঙ্গে বিরোধীদের নিশানা করে নরেন্দ্র মোদী(Narendra Modi) বলেন, ‘কংগ্রেসের বিশ্বাস কেবলমাত্র একটি পরিবারের উপর। একটি পরিবার ছাড়া তাঁরা কিছু দেখতে পায় না, কিছু ভাবতে পারে না। নতুন নতুন মোটর মেকানিকের কাজ শিখেছে তারা। অ্যালাইনমেন্ট কী হয় তার সংজ্ঞাও হয়তো এতদিনে শিখে গিয়েছেন। কিন্তু, জোটের অ্যালাইনমেন্টটাই বিগড়ে গিয়েছে। বেলাইন হয়ে গিয়েছে এই গোষ্ঠী। এদের একে অপরের উপর বিশ্বাস নেই। দেশের উপর বিশ্বাস কীকরে করবেন।’

 

এদিন নরেন্দ্র মোদী(Narendra Modi) তাঁর বাজেট অধিবেশন তথা লোকসভার আগের শেষ ভাষণে কংগ্রেস আগাগোড়া নিশানা করেন। তিনি নিজের তথা NDA সরকারের তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসা কার্যত নিশ্চিত বলেই দাবি করেন। একইসঙ্গে BJP একলাই ৩৭০ এবং NDA জোট ৪০০ আসন পাবে বলে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন নরেন্দ্র মোদী। মল্লিকার্জুন খাড়গের ‘আবকি বার BJP ৪০০ পার’ মন্তব্য নিয়েও একটি হাসাহাসি হয় সংসদের নিম্ন কক্ষে।