জম্মু-কাশ্মীরে সেনা জঙ্গি গুলির লড়াই অব্যাহত। এরই মধ্য়ে তিন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। মৃতদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসনের জনসংযোগ বিভাগ এক্স হ্যান্ডেলে জানিয়েছে, ‘শুক্রবার পুঞ্চ জেলার বাফলিয়াজে তিনজন সাধারণ নাগরিকরে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। যথাযথ আইনি পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে।’ সরকারের পক্ষ থেকে মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি মৃতদের পরিবারের তরফে যে কোনও একজনকে সমবেদনার খাতিরে চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।

 

জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ ও রাজৌরি জেলার সীমানায় সেনার ট্রাকে বৃহস্পতিবারের জঙ্গি হামলার ঘটনায় গুলিবিদ্ধ আরও এক জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে নাশকতায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ। বৃহস্পতিবার বিকেলে পৌনে ৪টে নাগাদ রাজৌরির ডেরা কি গলি অঞ্চল দিয়ে যাওয়ার সময়ে ৪৮ রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের একটি জিপ ও ট্রাকের ওপরে হামলা চালায় জঙ্গিরা।  সূত্রের খবর, জঙ্গিরা হামলার জন্য ব্যবহার করে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল ও গ্রেনেড লঞ্চার।

লস্কর ই তইবার শাখা সংগঠন দ্য পিপলস অ্যান্টি-ফ্যাসিস্ট ফ্রন্ট (পিএএফএফ) এই হামলার দায় নিয়েছে। বুধবার গভীর রাত থেকে ভারতীয় জওয়ানরা ডেরা কি গলি এলাকায় অভিযানে নামে। সেই অভিযানে রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের জওয়ানরা অংশ নিতে যাচ্ছিলেন। ডেরা কি গলির মাঝের পাহাড়ঘেরা অঞ্চলে গভীর অরণ্য রয়েছে। জঙ্গিরা সেই জঙ্গলের মধ্যেই লুকিয়ে ছিল। টোপা পীর অঞ্চলের কাছে একটি সঙ্কীর্ণ পাহাড়ি বাঁকের মুখে সেনার জিপ ও ট্রাকের ওপরে হামলা চালায় জঙ্গিরা। বাঁকের মুখে গাড়ির গতি কমতেই গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায়। ধেয়ে আসে গ্রেনেড। জঙ্গি হামলার পরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুঞ্চের এসএসপি সহ জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের আধিকারিক ও সেনা আধিকারিকেরা। রাস্তায় পড়ে রয়েছে চাপ চাপ রক্ত। রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায় সেনা জওয়ানদের ভাঙা হেলমেট। সেনার গাড়ির কাঁচও ভেঙে যায়। ঘটনাস্থলেই তিন জওয়ান শহীদ হন। গুরুতর আহত হন চার জন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই শহিদ হন আরও এক জওয়ান। সূত্রের খবর, শুক্রবার ভোরে আর এক জন আহত জওয়ান শহীদ হয়েছেন।