বড়দিন নোকিং দ্য ডোর। হাতে গোনা কয়েক দিন পরেই বর্ষ বরণ। দেশ জুড়ে উৎসবের আবহাওয়া। তারই মধ্যে নতুন করে মাথা চাড়া দিল করোনা (Corona Virus) আতঙ্ক। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা(Corona Virus)। গত ২৪ ঘণ্টায় অনেকটাই বেড়েছে আক্রান্তর সংখ্যা যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় সরকার। উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞ মহলও।

 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৭৫২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে কোভিডে (Covid) মৃত্য়ু হয়েছে চার জনের। করোনায় মৃত্য়ুর সংখ্য়া বেড়ে দাঁড়াল ৫ লাখ ৩৩ হাজার ৩৩২। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য পরিসংখ্যান তথ্য় অনুসারে, দেশের সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৩৪২০। করোনা ভাইরাসের (Corona Virus) নতুন ভ্যারিয়েন্ট JN.1 আক্রান্তের হদিশ পাওয়ার পরই  রাজ্যগুলিকে বিশেষ নির্দেশিকা পাঠিয়েছে কেন্দ্র ৷  কেরলেই বেশি ছড়িয়েছে সংক্রমণ। নয়া দিল্লি, গোয়া, গুজরাট, কর্নাটক, মহারাষ্ট্রে, পুদুচেরি, পঞ্জাব, তামিলনাড়ু, তেলঙ্গানাতেও করোনার বাড়বাড়ন্ত। শুধুমাত্র কেরালাতেই সক্রিয় রোগীর সংখ্যা পেরিয়েছে দুই হাজারের গণ্ডি।

 

জেএন ১-এর উপসর্গ কী?
WHO জানিয়েছে জেএন১-এর ক্ষেত্রে মৃদু থেকে মাঝারি উপসর্গ হতে পারে। আক্রান্তদের জ্বর, সর্দিকাসি, গলার সংক্রমণ ও মাথার যন্ত্রণা হতে পারে। অনেক রোগীর ক্ষেত্রে আবার শ্বাসকষ্টও হচ্ছে। তবে চার, পাঁচ দিনের মধ্যে সেরেও যাচ্ছে। এছাড়া তীব্র ক্লান্তি, অখিদে, গা বমি ভাব, পেশিতে ব্যথা অনুভব হতে পারে। ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়্যান্টে আক্রান্ত হলে কয়েকজনের মধ্যে বদহজম এবং পেটের গণ্ডগোলও দেখা যাচ্ছে। বয়স্ক ব্যাক্তিরা ও যাঁরা দীর্ঘ সময় ধরে কোনও গুরুতর রোগে ভুগছেন বা কোমর্বিডিটি রয়েছে, তাঁদের সাবধানে থাকতে বলছেন চিকিৎসকেরা। ওমিক্রন ভাইরাসে মিউটেশনর ফলে JN.1 তৈরি হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে দেখা গিয়েছে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ফাঁকি দেওয়ায় JN.1 আরও অনেক বেশি কার্যকর।ফলেএরসংক্রমণের হার বেশি।

 

 

কী কী সতর্কতা নিতে হবে?

ভিড়ের মধ্যে গেলে অবশ্যই মাস্ক পরুন। ঘন ঘন হাত ধোয়ার অভ্যাস ফিরিয়ে আনতে হবে,আসন্ন উৎসবের মরসুমে কেবল মাত্র প্রয়োজনেই বাড়ি থেকে বেরোনোর পরামর্শ চিকিৎসকদের। ১৩ ডিসেম্বর একটি বিবৃতিতে, হু-র টিকা উপদেষ্টা কমিটি জানিয়েছে, JN1 ভ্যারিয়েন্টকে রুখতে আপাতত বুস্টার টিকাই ভরসা।  করোনা সংক্রমণ নিয়ে সতর্কতামূলক একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, কলকাতা ও জেলার হাসপাতালগুলিতে করোনা রোগীদের জন্য বেড নির্দিষ্ট করে রাখা, পজিটিভ রোগীর নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে পাঠানোর মতো বিষয়গুলিতেও নজর দেওয়া হচ্ছে।

 

কোভিডের (Corona virus) এই ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণযোগ্যতা নিয়ে উদ্বেগ তো আছেই। তবে সেন্টার ফর ডিজ়িজ় কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) ইঙ্গিত অনুযায়ী, JN.1 সংক্রমণের হার বেশি হলেও মৃত্যুর ঝুঁকি কোভিডের অন্যান্য উপরূপের তুলনায় বেশি নয়। তবুও চিকিৎসকেরা সতর্ক থাকা এবং পুরনো কোভিড বিধি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন। এখনও পর্যন্ত পাওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে JN1 ভ্যারিয়েন্টকে খুব বেশি প্রাণঘাতী বলে মনে করছে না চিকিৎসকদের একাংশ। JN.1 প্রতিরোধে কোভিডের টিকা ভাল কাজ করছে বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা। তবে সতর্ক না হলে বিপদ বাড়তে সময় লাগবে না।