মকর সংক্রান্তির পুণ্যের সন্ধানে সাগরমুখী মানুষের ঢল। প্রবল ঠান্ডায় কাঁপতে কাঁপতেই ডুব দিচ্ছেন পুণ্যার্থীরা। তবে বিশেষজ্ঞরা চিন্তিত অন্য কারণে। যেভাবে দেশ জুড়ে ছড়াচ্ছে করোনা, তাতে এই গঙ্গাসাগর মেলা গোদের ওপর বিষফোঁড়া না হয়।

 

দেশে ভারতীয় SARS-CoV-2 জিনোমিক্স কনসোর্টিয়াম (INSACOG) জানিয়েছে যে শনিবার পর্যন্ত দেশে করোনার নতুন উপ-ভেরিয়েন্ট JN.1 এর (Corona JN1 variant) মোট ১২০০ জনের সংক্রমণের খবর মিলেছে। নাগাল্যান্ডেও করোনার JN1 ভ্যারিয়েন্টের (Corona JN1 Variant) রোগী পাওয়া গেছে। এখনও পর্যন্ত, ভারতের ১৭টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে JN.1-(Corona JN1 Variant) এর নমুনা পাওয়া গেছে। গত কয়েক সপ্তাহে দেশে হঠাৎ করেই করোনা (Corona Virus)আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে, যার পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রকও সতর্কতা জারি করেছে এবং জনসাধারণের জায়গায় মাস্ক পরার এবং মানুষের থেকে দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছে।

 

কর্ণাটকে সর্বোচ্চ সংখ্যক JN.1 (Corona Jn1 variant) কেস রেকর্ড করা হয়েছে ২১৫।  অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র এবং কেরালা, পশ্চিমবঙ্গ, গোয়া, তামিলনাড়ু এবং গুজরাটে করোনার নতুন উপ-ভেরিয়েন্টের সর্বাধিক সংখ্যক কেস পাওয়া গেছে। বাংলায় এখনও পর্যন্ত করোনা (Corona Virus) আক্রান্তের সংখ্যা ৯৬। বস্তুত ঠান্ডার প্রকোপ যত বাড়ছে সংক্রমণও  বাড়ছে। এটা শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, গোটা দেশেরই এক চিত্র। তবে আশার কথা এই যে, বয়স্ক ছাড়া বাদ বাকি সকলেরই জ্বর-সর্দিকাশির ওপর দিয়েই যাচ্ছে। করোনা (Corona Virus) পরীক্ষা না করানোর সংখ্যাটাই বেশি। রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধান্ত নিয়োগীর কথায়, ‘মানুষ বুঝে গিয়েছে কোভিডের সংক্রমণে পর ভয়াবহতা নেই। তাই পরীক্ষাও কম করাচ্ছে। তবে উচিত্‍ শ্বাসকষ্ট, জ্বর থাকলেও পরীক্ষা করে নেওয়া।’ রবিবারের তথ্য অনুযায়ী, ৮ জানুয়ারি রাজ্য থেকে ২৭২ টি করোনা পজিটিভ নমুনা আরটিপিসিআর পরীক্ষার পর কল্যাণীর কেন্দ্রীয় ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছিল জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য। সেই তথ্য যেমন রাজ্যের কাছে এসেছে তেমনই কেন্দ্রের কোভিড পোর্টালেও দেওয়া হয়েছে। সেই অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে ২৭২ এর মধ্যে ৯৬ টি JN.1 উপপ্রজাতি পাওয়া গেছে।