কলকাতা: উজ্জ্বলা যোজনা-সহ ভর্তুকিযোগ্য রান্নার গ্যাসের (এলপিজি) সব গ্রাহকেরই আধার যাচাই করতে হবে ও তাঁদের বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহের জন্য সংশ্লিষ্ট তেল সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দিল কেন্দ্র সরকার। যা ঘিরে গ্রাহক এবং বিক্রেতা  দুই মহলেই ছড়িয়েছে বিভ্রান্তি। হঠাৎ জারি করা এই নির্দেশের যৌক্তিকতা ঘিরেও উঠছে প্রশ্ন।

 

সূত্রের খবর, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সেই কাজ সম্পূর্ণ করার নির্দেশ দিয়েছে তেল সংস্থাগুলি। এত  তাড়াতাড়ি বিপুল সংখ্যক গ্রাহকের তথ্য যাচাই কী ভাবে হবে, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। এই নির্দেশের কথা সরাসরি গ্রাহকদের এখনও জানায়নি সরকার এবং তেল সংস্থাগুলি। হয়নি প্রচার। আবার ডিস্ট্রিবিউটরদের হাতেও এ জন্য তৈরি হওয়ার সময় প্রায় নেই। বিশেষত প্রবীণ গ্রাহকদের এতে হয়রানি হবে বলে আশঙ্কা।

 

সূত্রের খবর, সপ্তাহখানেক আগে সেই নির্দেশ কোনও তেল সংস্থা হোয়াটসঅ্যাপ মারফত  বিক্রেতাদের জানায়। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তা সম্পূর্ণ করার কথাও বলা হয়। কিন্তু এ নিয়ে গ্রাহকদের কেন্দ্র বা সংস্থা কিছু জানায়নি। তাঁরা ডিস্ট্রিবিউটর মারফত খবর পাচ্ছেন। এখানেই হয়রানির আশঙ্কায় এলপিজি ক্রেতা-বিক্রেতারা। তাঁদের প্রশ্ন, ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার নম্বর এক বার যাচাই করে তা যুক্ত করার পরে ফের বায়োমেট্রিক তথ্য চাওয়া হচ্ছে কেন? বিশেষত বায়োমেট্রিক তথ্য ‘হাতিয়ে’ যখন চারদিকে আর্থিক প্রতারণার ঘটনার অভিযোগ উঠছে, তখন যে ভর্তুকি প্রায় বন্ধই, সেখানে তথ্য যাচাইয়ের এই নির্দেশই বা কেন?

 

সংশ্লিষ্ট সূত্র অবশ্য বলছে, উজ্জ্বলার আসল গ্রাহকদের চিহ্নিত করা এবং একই পরিবারে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে ভর্তুকিযোগ্য একাধিক সংযোগ রয়েছে কি না, তা যাচাই করতেই এই পদক্ষেপ। বিক্রেতা সংগঠনগুলির কর্তারা জানাচ্ছেন, দোকানে গিয়ে গ্রাহকেরা বায়োমেট্রিক তথ্য দিতে পারবেন। আবার সিলিন্ডার দিতে এলে ডেলিভারি বয়দের কাছেও তা দেওয়া যাবে। এ ছাড়া উজ্জ্বলা যোজনার নতুন সংযোগের জন্য বিশেষ প্রচার গাড়িতেও এই ব্যবস্থা থাকবে।