শরতের শেষে হেমন্তের আগমন। এই সময় একটু একটু করে আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটে। কখনও গরম, কখনও ঠাণ্ডা। পারদের হেরফেরে ঘরে ঘরে সর্দি, কাশি, জ্বর। আবহাওয়ার তারতম্যে সক্রিয় হয় ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়াও । সঙ্গে রয়েছে আতস বাজি এবং শব্দ বাজির তাণ্ডব। বাজির প্রভাবে বাতাসে মিশেছে রাসায়নিক পদার্থ। এই অবস্থায় শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে সাধারণ মানুষেরই কষ্ট হয় আর সবথেকে বেশি ভোগেন হাঁপানির রোগীরা। কয়েকটি উপায়ে অবলম্বন করলেই এই রোগ থেকে ভাল থাকা যায়।

 

পেঁয়াজ: পেঁয়াজ যে কোনও প্রদাহ জনিত রোগে উপকারি। পেঁয়াজ নাসাপথকে পরিস্কার করে । শ্বাসকষ্ট দূর করে।

 

লেবু: লেবুতে আছে ভিটমিন সি এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এক গ্লাস জলে প্রতিদিন অল্প চিনি এবং মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। হাঁপানি জব্দ হবে।

 

ল্যাভেন্ডার তেল: গরম জলের মধ্যে ৫-৬ ফোঁটা ল্যাভেন্ডার তেল মিশিয়ে ধীরে ধীরে ভেপার নিন। হাঁপানির কষ্ট কম হবে।

 

মধু: মধু হাঁপানি নিরাময়ের ঘরোয়া টোটকা। প্রতিদিন রাতে ঘুমনোর আগে এক চামচ মধুর সঙ্গে দারচিনি গুঁড়ো করে খেতে পারেন। তবে দারচিনিতে অ্যালার্জি থাকলে না খাওয়াই ভাল।

 

আদা: জলের মধ্যে এক টুকরো আদা মিশিয়ে ভাল করে ফুটিয়ে নিন। পাঁচ মিনিট রেখে মিশ্রণটি খেয়ে নিতে পারেন। হাঁপানি ছাড়াও জ্বর, সর্দি, কাশিতেও খুব উপকারি এই মিশ্রণ।

 

রসুন: হাঁপানির অভ্যর্থ দাওয়াই রসুন। এক কাপ গরম দুধে ৩-৪ কোয়া রসুন মিশিয়ে মিশ্রণটি ফুটিয়ে খেলে হাঁপানির কষ্ট কম হয়।

 

কফি: কফি হাঁপানি নিরাময়ে খুবই নির্ভরযোগ্য পানীয়। তাছাড়াও কফি শ্বাসনালির প্রদাহ রোধ করে।

তবে প্রয়োজনে ওষুধের সাহায্য অবশ্যই নিতে হবে।