ফের চোখ রাঙানি করোনার। গত কয়েকদিনে হু হু করে বেড়েছে ভাইরাসের প্রকোপ। ভারতে করোনার নতুন প্রজাতি JN1 (Covid JN1 variant) এর অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। মঙ্গলবারই দুই হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়েছে ভারতে সক্রিয় কোভিড রোগীর (Covid Patient) সংখ্যা। ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়ছে সংক্রমণ। সংক্রমণ বাড়ছে কেরল, কর্ণাটকের মত দক্ষিণী রাজ্যগুলোতে। ৬০ বছর এবং তার বেশি বয়সি মানুষ ও যাদের কোমর্বিডিটি আছে যেমন ডায়াবেটিস, প্রেশার, কিডনি, হার্ট, লিভার সিরোসিস , এদের প্রত্যেকেরই রাস্তায় বেরলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করেছে কর্ণাটক সরকার।রিপোর্ট অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৪২ জন এবং এদের মধ্যে ১১৫ জনই কেরলের বাসিন্দা।

 

সংকটজনক পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলোর ওপর নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জারি করা এক নির্দেশিকায় জেলা ভিত্তিক সারি এবং আইএলআই বিভাগে আসা সর্দি, কাশি ও ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত রোগীদের ওপর নিয়মিত নজর রেখে রিপোর্ট তৈরি করতে বলা হয়েছে।রাজ্যের হাসপাতালগুলিকে ইন্টিগ্রেটেড হেল্থ ইনফরমেশন প্ল্যাটফর্ম পোর্টালে এই জাতীয় রোগীদের বিস্তারিত তথ্য রেকর্ড করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পর্যাপ্ত সংখ্যায় আর টি পি সি আর টেস্ট (RTPCR Test) ছাড়াও পজেটিভ নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং এর জন্য ল্যাবে পাঠানোরও পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র।

 

নতুন করে করোনা ভাইরাস (Corona Virus) ছড়ানো আটকাতে আজ স্বাস্থ্য সুবিধা এবং পরিষেবার প্রস্তুতি মূল্যায়ন করা সম্বন্ধীয় একটি বৈঠকে বসতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী শ্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। এই পর্যালোচনা সভায় সমস্ত রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী, অতিরিক্ত মুখ্য প্রধান সচিব, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল, তার সঙ্গে জড়িত কেন্দ্রীয় মন্ত্রক এবং বিভাগীয় আধিকারিক প্রধানরাও থাকবেন।