রাজ্যের বকেয়া দাবিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Prime Minister Narendra Modi)সঙ্গে সাক্ষাত হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Bandyopadhyay)। সঙ্গে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) ছাড়াও ১০ জন সাংসদ। ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Prime Minister Narendra Modi) সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandyopadhyay)। ২০ মিনিটের বৈঠক হয় দিল্লির সংসদ ভবনে। সেখানে বাংলার উন্নয়ন স্বার্থে বহুদিন ধরে বিভিন্ন প্রকল্প খাতে বকেয়া নিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন মুখ্যমন্ত্রী।

 

সংসদ ভবন থেকে বেরিয়ে এদিন সাংবাদিকের মুখোমুখি হন মমতা (Mamata Bandyopadhyay)। তিনি বলেন, ‘আমি ১৫৫ বার ব্যাখ্যা দিয়েছি। আজকে আবার দিয়ে এলাম। ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা প্রকল্প, হেলথ মিশন, ফিন্যান্স কমিশন সহ একাধিক প্রকল্পে কেন্দ্রের অর্থ বকেয়া রয়েছে। যা যা ব্যাখ্যা চেয়েছিল সব দিয়েছি। আগেও তিনবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এই বিষয়ে দেখা করেছি। আজ আবার করে এলাম। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন এই বকেয়া নিয়ে একটি জয়েন্ট কমিটি গঠন করা হবে। যেখানে রাজ্যের একজন অফিসার এবং কেন্দ্রের অফিসার প্রতিনিধি থাকবেন। আলোচনার মাধ্যমে একটি সিদ্ধান্তে আসা হবে। আমরা দ্রুততার সঙ্গে এই কাজ সম্পন্ন করতে অনুরোধ জানিয়েছিল প্রধানমন্ত্রীকে। ১ লাখ ১৬ হাজার কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। গরিব মানুষের এই টাকা একটু তাড়াতাড়ি পৌঁছে দিলে ভালো হয়, এটাও অনুরোধ জানিয়েছি।’ এর আগে বকেয়া আদায়ের দাবিতে দিল্লির দরবারে পৌঁছে ছিলেন অভিষেক। তাঁর নেতৃত্বে দিল্লিতে আন্দোলনও করে তৃণমূল।

 

কোন কোন ক্ষেত্রে বকেয়ার দাবি রয়েছে রাজ্যের?

১০০ দিনের গ্রামীণ প্রকল্পের কাজের টাকা এবং প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনার টাকার বকেয়া ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে আটকে রয়েছে । কেন্দ্রের থেকে এই মর্মে সাত হাজার কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। যার মধ্যে তিন হাজার কোটি টাকা ১০০ দিনের শ্রমিকদের মজুরি বাবাদ এবং সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন নির্মীয়মাণ সামগ্রীর জন্য বাকী আছে। প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনায় রাস্তা তৈরির বরাদ্দের জন্য কেন্দ্রের তরফে ৭৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ হলেও মোটে ১৩ শতাংশ টাকা এখনও পর্যন্ত পেয়েছে রাজ্য। এ ছাড়াও বিভিন্ন পেনশন প্রকল্পে কেন্দ্রের কাছ থেকে ২০৫ কোটি টাকা এখনও বকেয়া। স্বাস্থ্য খাতেও কেন্দ্রের টাকা আটকে রয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের অধীনে টাকা বকেয়া রয়েছে বলে অভিযোগ রাজ্যের।

 

আমফানের সময় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার সব টাকা এখনও রাজ্যকে দেওয়া হয়নি বলেও বুধবারের বৈঠকে জানান মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল সাংসদদের প্রতিনিধি দল।