mamata-banerjee

DA নিয়ে আরও জোরালো আন্দোলনের পথে রাজ্যের সরকারি কর্মচারী একাংশ। ২০২৪ এ লোকসভা নির্বাচন। এই প্রেক্ষাপটেই আন্দোলনের পথে হাঁটার পরিবর্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Bandyopadhyay) ওপরই আস্থা রাখছেন কর্মীদের একাংশ।

 

কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘভাতার দাবিতে নতুন বছরের শুরুতেই রাজ্য শাসক দল সমর্থিত সরকারি কর্মী সংগঠন পশ্চিমবঙ্গ কর্মচারি ফেডারেশনের একটি সভা আয়োজিত হতে চলেছে। আর সেই সভা থেকেই DA নিয়ে বার্তা দিতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandyopadhyay), প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে এমনটাই। যদিও রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ আইনি লড়াইয়ের পথে হাঁটছেন। আপাতত মামলাটি সুপ্রিম কোর্টের  বিচারাধীন।

 

অবশ্য আরেকাংশের ধারণা, রাজ্যের ওপর বিভিন্ন চাপ রয়েছে। এই মুহূর্তে একাধিক প্রকল্প বাবদ অর্থ বরাদ্দ বন্ধ করেছে কেন্দ্র সরকার, দাবি রাজ্য়ের। ফলে নতুন বছরে DA আদৌ মিলবে কিনা, তা নিয়ে নিশ্চিত হতে পারছেন না অনেকেই।

AICPI অনুযায়ী DA-র দাবিতে আইনি লড়াই লড়ছে সরকারি কর্মচারি সংগঠন। নতুন বছরে DA বৃদ্ধির প্রত্যাশা প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংগঠনের তরফে জনৈক ব্যক্তির বক্তব্য অনুযায়ী, ‘এই সরকার ঠিক করে রেখেছে DA দেবে না। যতক্ষণ না পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খাবে ততক্ষণ DA দেবে না। ৪৬-এর জায়গায় ৬ দিয়েছে।’ কিছুটা একই সুর শোনা গেল রাজ্য সরকারি কর্মচারি পরিষদের সভাপতির কণ্ঠেও। তিনি বলেন, ‘কোনও রাজ্য এভাবে DA আটকে রাখে না বা তাদের সরকারি কর্মীদের এভাবে সুপ্রিম কোর্টেও যেতে হয় না। আমাদের পাখির চোখ সুপ্রিম কোর্ট। রায় বার হলে সরকার নড়ে যাবে বলে আমরা মনে করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘দোরগোড়ায় নির্বাচন! সেই কথা মাথায় রেখে যদি দুই এক শতাংশ DA বাড়িয়েও দেয় আমরা তাতে কোনওভাবেই সন্তুষ্ট হব না। আমাদের আইনি লড়াই চলবে।’ উল্লেখ্য, চলতি বছর বাজেট অধিবেশনে রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য তিন শতাংশ ডিএ ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য(Chandrima Bhattacharjee)।