আসছে শীত। হাঁসফাঁস গরম থেকে অবশেষে মুক্তি। আগামী ১৫ই ডিসেম্বরের পর থেকে জাঁকিয়ে শীত উপভোগ করবে বাংলা। শীতের ফুরফুরে আমেজে পাটি, পিকনিক চলতেই থাকে। তবে এই সময়েই বাড়ে গাঁটের ব্যথা(Joint pain)।অনেক সময় পেশিতে বেকায়দায় টান ধরলে কিংবা পেশী শক্ত হয়ে গেলে ব্যথা আরও বাড়ে।  শীতকাল মানেই অলসতা আর জবুথবু ভাব। একটানা শুয়ে, বসে থাকলেও  বাড়তে পারে গাঁটের ব্যথার (Joint Pain) সমস্যা। কিছু উপায় মেনে চললে গাঁটের ব্যথা(Joint Pain) উপশম হতে পারে।

 

  1. হাঁটা চলা স্বাভাবিক রাখুন: অতিরিক্ত ঠাণ্ডায় সব কাজেই আলস্য বোধ হয়। বেশি হাঁটতেও ইচ্ছে করে না। স্বাভাবিক হাঁটা চলা বজায় রাখুন। নয়তো পেশী শক্ত হয়ে যায় অর্থাৎ মাসল স্টিফ হয়। মাসল স্টিফের সমস্যা হলে শরীরে সাবলীল ভাবে রক্ত চলাচল সম্পন্ন হয় না। ফলে ব্যথা আরও বাড়ে।

 

2. অতিরিক্ত ঠাণ্ডায় যন্ত্রণা বাড়ে: খুব বেশি ঠাণ্ডায় কোমর, হাঁটুর যন্ত্রণা বাড়ে। যাদের ব্যথার সমস্যা আছে তারা আগে থেকেই সাবধান হন। তাপমাত্রা অনুযায়ী গরম জামা কাপড় পরুন। যদি আপনি শীতের দেশের বাসিন্দা হন তাহলে ঘরের আবহাওয়া গরম রাখার চেষ্টা করুন। তাহলে অনেকাংশেই উপকার পাবেন।

 

3. খুব বেশি ওজনেও ব্যথা বাড়ে: আপনার শরীরের তুলনায় ওজন(Obesity) খুব বেশি হলে গাঁটের ব্যথার(Joint Pain) তীব্রতা বাড়ে। তাই ওজন (Weight) নিয়ন্ত্রণে রাখুন। ওজন(Weight) বশে রাখতে চাইলে ডায়েট চার্টের দিকে নজর দিতে হবে। যেসব খাবার শরীরের ওজন বাড়াতে (Weight gain) সাহায্য করে সেই খাবারগুলো ডায়েট চার্ট থেকে বাদ দিতে হবে। তাতে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে, গাঁটের ব্যথাও(Joint Pain) কমবে।

 

4. হাইড্রেট(Hydrate) থাকুন: শীতকালে ঘাম কম হয়, তাই জল পিপাসাও কম পায়। তবুও পরিমাণ মত জল খান। শরীর ডিহাইড্রেট হয়ে গেলে পেশীতে টান ধরে এবং জয়েন্ট পেইন (Joint pain) আরও বাড়ে।

 

5. ভিটামিন ডি (Vitamin-D)এর ঘাটতি প্রতিরোধ করুন: ভিটামিন ডি (Vitamin-D) হাড় শক্ত করে। ভিটামিন ডি (Vitamin-D) সমৃ্দ্ধ খাবার বেশি করে খান। শরীরে ব্যথা যন্ত্রণা কিছুটা হলেও কম থাকবে।