দূষণের কারণে কয়েক সপ্তাহ আগেই খবরের শিরোনামে ছিল দিল্লি। দীপাবলির সময় দূষণের পরিমাণ চরম পর্যায়ে পৌঁছে ছিল। শ্বাস প্রশ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছিল। মানুষের স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছিল। ক্রমশ দূষণর পরিমাণ বাড়ায় স্কুল, কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় দিল্লি সরকার। কৃত্রিম বৃষ্টিরও পরিকল্পনা করা হয়। তবে তার প্রয়োজন হয়নি। প্রাকৃতিক বৃষ্টিতেই কিছুটা কমেছে দূষণের পরিমাণ।

 

এবার দূষণে নাজেহাল পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশ। পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা অ্যাসসিয়েটস প্রেস অব পাকিস্তান এক প্রতিবেদনে জানায় বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর লাহোর। দিল্লিকেও ছাড়িয়ে গেছে দূষণে। IQAir এর লাইভ সিটি র্যাঙ্কিং অনুযায়ী লাহোরের AQI মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে ৪১৩। দিল্লি দ্বিতীয় এবং করাচি রয়েছে তৃতীয় স্থানে। দূষণ এমন স্থানে পৌঁছেছে যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হয়েছে। দূষণ রুখতে ব্যর্থ স্থানীয় সরকার।

 

এই পরিস্থতিতে ভারতের অস্ত্রকেই হাতিয়ার করল পাকিস্তান। কৃত্রিম বৃষ্টির পরিকল্পনা করছে তারা। এই বৃষ্টি যথেষ্ট খরচ সাপেক্ষ। অর্থ কষ্টে জর্জরিত পাকিস্তান। এই অবস্থায় কৃ্ত্রিম বৃষ্টিপাতে বিপুল অর্থ ব্যয় হওয়ায় সরকারের সমলোচনায় সরব  একাংশ। স্থানীয় সূত্র অনুযায়ী, আগামী মাসেই এই বৃষ্টিপাতের পরিকল্পনা আছে। প্রতি বছর শীতেই লাহোর ও দিল্লির বাতাসকে দূষণ গ্রাস করে। বর্ষার শেষে ফসল তোলার পর দুই দেশের কৃষকরাই খড় পোড়ন। যা থেকেই সৃ্ষ্টি হয় বায়ু দূষণ। এ বিষয়ে পাঞ্জাব সরকার পরামর্শ চেয়েছে বিশেষজ্ঞদের।

 

কৃত্রিম বৃষ্টি কীভাবে হয়?

কৃত্রিম বৃষ্টিকে বৈজ্ঞানিক ভাষায় বলা হয় ক্লাউড সিডিং। সিলভার আয়োডাইড বা পটাশিয়াম আয়োডাইড মেঘের মধ্যে মিশিয়ে দেওয়া হয়। সিলভার আয়োডাইড বা পটাশিয়াম আয়োডাইড মেঘের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে , ফলে বৃষ্টি কণা তৈরি হয়। এভাবেইকৃত্রিম বৃষ্টি এবং বরফপাত হয়।