অন্ধকারের উৎস হতে উংসারিত আলো। দীপাবলি আলোর উৎসব। নানা রঙের আলোয় সেজে ওঠে ধরিত্রী। মা যেন সব আলো নিয়ে নেমে আসেন পৃথিবীতে। আনন্দে মাতে সবাই। তবে আমার আপনার আনন্দ কখনই যেন অন্যের অসুবিধার কারণ না হয়। আলোর বাজি ছাড়াও আনন্দ উৎসবে শব্দ বাজিও ফাটে। এই শব্দের তাণ্ডবে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বাড়ির পোষ্যরা।

 

দীর্ঘদিন ধরে তারা আমাদের বাড়ির সদস্য হয়ে যায়। তারা অসু্স্থ হলে বাড়ির লোকেরাও খারাপ থাকে। তাই চেষ্টা করুন দীপাবলিতে শব্দ বাজি না ফাটাতে। উৎসবের আনন্দে আমরা যখন মশগুল তখন সবচেয়ে বেশি কাতর হয় পোষ্যরা।

 

কুকুরদের শ্রবণশক্তি খুব প্রখর। আচমকা বাজির শব্দে চমকে ওঠে তারা। এই আওয়াজে তারা এতটাই ভীত হয়ে যায় যে অসংলগ্ন আচরণ করে। কেউ কেউ খাটের তলায় আশ্রয় নেয়। যে কুকুর কোনও দিনই কামড়ায় না সেও কামড়াতে উদ্যত হয়। ট্রেনিং থাকা সত্ত্বেও ভয়ে অনেকে যেখানে সেখানে প্রস্রাব করে দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে জিনগত কারণেই শব্দকে ভয় পায় কুকুররা।

 

কী করলে স্বস্তি পায়

  • এই দিনগুলোতে পোষ্যকে বেঁধে রাখবেন না। কুকুর প্রভুভক্ত প্রাণী। মালিকের কাছাকাছি থাকলে কিছুটা স্বস্তি পাবে
  • কোনও কাজ বা খেলায় ব্যস্ত রাখুন
  • প্রয়োজনে বাড়ির জানলা বন্ধ রাখুন
  • কুকুরকে নিরাপদ স্থানে রাখার চেষ্টা করুন। যেখানে শব্দের তীব্রতা কম পৌঁছোয়

 

শুধু বাড়ির কুকুরই নয়, শব্দ বাজির উৎপাতে আতঙ্কিত বোধ করে পথ কুকুর এবং অন্যান্য প্রাণীরাও। তাই শব্দ বাজি বর্জন করুন। উৎসবে মাতুন আলোর বাজির সঙ্গে।