আনন্দ, উৎসব, খুশি এই সব কিছুর সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে আছে আলো। উৎসবের আবহে আলোর রোশনাই না থাকলে খুশির জোয়ার আসে না। এই সব কিছুর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বাজির তাণ্ডব। আলোর বাজি আলোর ছটা বাড়িয়ে দেয় কিন্তু শব্দ বাজি ? মাত্রাতিরিক্ত শব্দ যেমন দূষণ সৃষ্টি করে তেমন মানুষকে অসুস্থও করে তোলে। মানুষ ছাড়া শব্দ বাজির তাণ্ডবে বেশি কাবু হয় পশু পাখিরা।

 

 

বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের পর উদ্ধার করা হয়েছিল অনেক বেআইনি বাজি। সরকারি তৎপরতায় বন্ধ করে দেওয়া হয় বেআইনি বাজি কারখানাগুলো। ভাঙর থেকে বাজি ভর্তি ট্রাক শহরে প্রবেশের সময় আটক করে পুলিশ। তা সত্ত্বেও দূর্গা পুজোর বিসর্জন এবং লক্ষ্মী পুজোতে বাজির শব্দ ভালই শোনা গিয়েছিল। বহু আবাসন থেকেও এসেছে বাজির শব্দ ।

 

সম্প্রতি শব্দবাজির শব্দ সীমা ৯০ ডেসিবেল থেকে ১২৫ ডেসিবেল করা হয়েছে। উৎসব এখনও শেষ হয়নি। কয়েক দিন পরেই কালি পুজো ও ভাইফোঁটা । তারপর ছটপুজো এবং জগদ্ধাত্রী পুজো। কালি পুজো, ছটপুজোতে বাজির দৌরাত্ম্য এমনিতেই বেশি থাকে। এবার কি সেই দৌরাত্ম্য আটকানো যাবে?

 

লালবাজার সূত্র অনুযায়ী, শব্দ বাজির তাণ্ডব বন্ধ করার জন্য অনেক আগে থেকেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কয়েকশো বাজি আটক করা হয়েছে। লক্ষ্মী পুজোতে পুলিশের নজরদারি ছিল। পুলিশের বিশেষ দল টহলদারিও চালিয়েছে। প্রতিটি ডিভিশন থানাকেও প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া আছে।