মুম্বাই, ৮ই মে, ২০২৪:  Ode to My Beloved এর সাথে রবীন্দ্র সংগীতের মায়াময় জগতে ডুব দিন। একটি নতুন যন্ত্র সঙ্গীত অ্যালবাম যাতে রয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পাঁচটি রচনা এবং রাগ তিলক কামোদের একটি ঐতিহ্যবাহী শাস্ত্রীয় অংশ, কৃষ্ণ  কয়াল, সায়নদীপ রায়, মেঘদূত রায় চৌধুরী এবং সত্রাজিত সেন  দ্বারা একটি ব্লুপার গ্রুপের হাউস প্রযোজনা। এর সঙ্গে অভিজ্ঞতা তার ১৬৩ তম জন্মবার্ষিকীতে রবীন্দ্রনাথের প্রতি শ্রদ্ধা প্রেম আকাঙ্ক্ষা এবং তার চিরন্তন থিম গুলিকে অন্বেষণ করে। সত্রাজিৎ সেনের ধারণা ঘোষ দ্বারা প্রযোজনা এবং সায়ন দ্বীপ রায়ের সঙ্গে এই সঙ্গীত অভিজ্ঞতা তার ১৬৩ তম জন্মবার্ষিকীতে রবীন্দ্রনাথের প্রতি শ্রদ্ধা হিসেবে বোঝানো হয়েছে। সায়নদ্বীপ নিজেকে সংগীতের মাধ্যমে প্রকাশ করার জন্য এই সুযোগটিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলেন। ম্যানডোলা শুনে তার আবেগকে অনুভব করে শ্রোতারা একটি অনন্য অভিজ্ঞতা লাভ করবে। সেলিম সুলাইমান মিউজিকের ইউটিউব চ্যানেল এবং সমস্ত অডিও প্লাটফর্মে একচেটিয়া ভাবে এই অবিস্মরণীয়  যাত্রায় যোগ দিন।

 

এই চমৎকার যন্ত্রের টুকরো গুলির পাশাপাশি মুক্তি পেয়েছে কালজয়ী ‘ভালবেসে শিখি’ এর একটি বিশেষ ভিসুয়াল ব্যাখ্যা। সত্যজিৎ সেন এবং রিচা শর্মা অভিনীত এই মিউজিক ভিডিওটি চেতনার শৈলী একটি জাদুকরি রূপক ধারার মাধ্যমে ক্ষতি, প্রেম, শোক এবং মাংস রক্তের নশ্বর রাজ্যে অনুভূতির অমরত্বের প্রতি ঠাকুরের গভীর বিশ্বাসের থিমগুলিকে পর্দায় নিয়ে আসে।

 

 রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উত্তরাধিকার বাংলার বাইরে ও বিস্তৃত। তিনি একমাত্র অ ইউরোপিয়ান যিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার জিতেছে এবং তার রচনাগুলি সারা বিশ্বের সংগীতপ্রেমীদের দ্বারা লালিত। এই ইন্সট্রুমেন্টের উপস্থাপনা তার কাজের একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি সরবরাহ করে বিশ্বব্যাপী দর্শকদের তার গভীর আবেগের সাথে সংযোগ করার জন্য আমন্ত্রণ জানায়।

 

 

 এই অনুষ্ঠানে অভিনেত্রী রিচা শর্মা বলেন ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কালজয়ী কাজ উদযাপন করা একটি প্রজেক্ট এর অংশ হতে পেরে আমি অবিশ্বাস্যভাবে সম্মানিত। এটা বিশেষভাবে তৃপ্তিদায়ক যে সংগীতটি সেলিম সুলাইমান চালু করেছিলেন ।আমরা ঋণী। শত্রাজিৎ যার দূরদর্শিতা এবং উদ্যোগে এই পুরো প্রকল্পটি সম্ভব  করেছে’।

 

সংবাদমাধ্যমে কথা বলতে গিয়ে সত্রাজিৎ সেন বলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সংগীত সবসময় আমার হৃদয়ে। একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে। তোমায় একটি নতুন যন্ত্রের লেন্সের মাধ্যমে তার রচনাগুলোর মধ্যে আবেগের গভীরতা অন্বেষণ করার একটি উপায় ছিল । আমি প্রতিভাবান শিল্পীদের এই দলটির কাছে কৃতজ্ঞ এই দৃষ্টিভঙ্গিকে জীবনে আনার জন্য। আমরা বিশেষভাবে সেলিম সুলাইমানের কাছে কৃতজ্ঞ যে তারা ঠাকুরের কালজয়ী রচনাগুলির এই অনন্য যন্ত্রের ব্যাখ্যা প্রদর্শনের জন্য তাদের প্ল্যাটফর্ম ধার দিয়েছেন।

 

 দলের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল গানের আখ্যানে ভারসাম্য আনা এবং একই সাথে রবীন্দ্রনাথ আমাদের যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন সেই বিশাল সমুদ্র অন্বেষণ করা। পরিচালক ঋত্বিক  সিনহার কাছে এটি একটি বিশেষ চ্যালেঞ্জ ছিল। তাদের যৌথ প্রচেষ্টা, সত্রাজিৎ সেনের সমর্থন এবং আত্মবিশ্বাসের সাথে তাদের ধারণা গুলি প্রবাহিত করার সুযোগ দেয়।

 

 অনিক চ্যাটার্জির নেতৃত্বে  সিনেমাটোগ্রাফি তিন প্রতিটি ফ্রেম দেখে দর্শকরা আনন্দিত হবে তা নিশ্চিত করতে রং অনন্য আলো এবং কোরিওগ্রাফি ব্যবহার করতে হয়েছে ব্যাকগ্রাউন্ড এর সায়ন দ্বীপ রায়ের ম্যান্ডেলার সাথে এই অভিজ্ঞতা আরো দ্বিগুণ বেড়ে যায়।

 

 

আরও পড়ুন: Pinky-Kanchan: এই সে যে আমাকে……..কাঞ্চনের জন্মদিনের রাতে মনের কথা জানালেন পিংকি