‘ফাগুন হাওয়ায় হাওয়ায় করেছি যে দান’……………… বসন্ত এসে গেছে। আর বসন্ত মানেই রঙ। জরাজীর্ণতা কাটিয়ে প্রকৃতি সেজে ওঠে নব রঙে। বস্ত মানেই পলাশের রঙে সেজে ওঠে লাল মাটির গ্রাম। রঙের খেলা দেখতে অবশ্যই ঘুরে আসুন পুরুলিয়ায়। রঙের উৎসবে পর্যটকদের পছন্দের জায়গা পুরুলিয়া। পুরুলিয়ার রাস্তাঘাটে শুধুই রঙের খেলা। রুক্ষ মাটি পলাশের রঙে রঙিন হয়ে যায়। পলাশ ফুটতে শুরু করেছে। সারা বছরই এখন পুরুলিয়ায় পর্যটকদের আনাগোনা।

 

‘বসন্তে ফুল গাঁথল আমার জয়ের মালা’…………………..

 

তবে বসন্তে পুরুলিয়ায় বেশি ভিড় হয়। অতিরিক্ত গরমে পর্যটকদের এখানে আসা কষ্টকর হয়ে যায়। এপ্রিলের শেষে পলাশও শুকিয়ে যায়। ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যায় আবহাওয়া। রুক্ষ পাহাড়ও সেজে ওঠে ফুলে ফুলে। পুরুলিয়ায় অযোধ্যা পাহাড় ছাড়াও রয়েছে ময়ূর পাহাড়।

 

মালভূমির পাথুরে পাহাড় ঠিক যেমন হয় ঠিক তেমনই অযোধ্যা পাহাড়। তবে ধাপে সিঁড়ি দিয়ে ওপরে ওঠা যায় ময়ূর পাহাড়ে। সেখানে রয়েছে একটি ওয়াচ টাওয়ার। সেখান থেকে পলাশের বন দেখতে অসাধারণ লাগে । ময়ূর পাহাড় থেকে অযোধ্যা পাহাড়ও দেখা যায়। যার ভিউ খুবই সুন্দর। পাহাড় জুড়ে রয়েছে পলাশ, শিমুলের গাছ। ময়ূর পাহাড়ে তুলনামূলক ভাবে পর্যটকদের ভিড় কম। এছাড়াও আছে ঝর্ণা এবং মন্দির। সাইড সিন করতে যেতেই পারেন বাঁকুড়ায়। সেখানেও আপনাকে সাদর অভ্যর্থনা জানাবে রাস্তার দুপাশে পলাশের বন। পলাশের মালা গলায় পরে পুরুলিয়ার গ্রাম ঘুরে দেখতে মন্দ লাগবে না। মহুয়ার গন্ধ মেখে রাত্রি যাপন করতেই পারেন লাল মাটির দেশে।

 

 

আরও পড়ুন:Kanchan Mullick Marriage: বড় চমকের অপেক্ষা, আবারও বিয়ের পিঁড়িতে কাঞ্চন মল্লিক, পাত্রী কে?