কলকাতা: কলকাতার একাধিক সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে এবার শিয়ালদা ও ঢাকুরিয়া সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পরে সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে সেতুর সংস্কার শুরু হবে। এই দুই সেতুর মেরামতির জন্য় সব মিলিয়ে বরাদ্দ করা হয়েছে ৯৮ লাখ টাকা। তবে সবার আগে শিয়ালদা সেতু সংস্কারের কাজ শুরু হবে।  এরপর  ঢাকুরিয়া সেতুর কাজ শুরু হবে। সেতু সংস্কারের দায়িত্বে থাকবে কেএমডিএ   ।

 

তবে সেতু সংস্কার করা মানেই সেতুর যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের ব্যাপার। সেক্ষেত্রে যান নিয়ন্ত্রণের ব্য়াপারে কেএমডিএ-কেই দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে। কিন্তু এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু সংস্কারের কাজ চললেও প্রাথমিকভাবে সেখানে যান চলাচল একেবারে বন্ধ করে দেওয়া হবে এমনটা নয়। আপাতত ঠিক করা হয়েছে রাতের দিকে এই কাজ  হবে। রাত ১১টা থেকে ভোর ৪টে পর্যন্ত সংস্কারের কাজ করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

 

শিয়ালদা সেতুর ক্ষেত্রে একাধিক সুপারিশ করা হয়েছে। সেই সুপারিশের মধ্য়ে অন্যতম হল সেতুর পিলারের কিছু সমস্য়া আছে যা মেরামতি করা হবে। মূলত ছোট গাড়ির বাড়তি চাপ থাকার জন্যই ওই সেতুর মেরামতির প্রয়োজন রয়েছে। তাছাড়া গার্ডারেরও কিছু কাজ করা হবে।

 

ঢাকুরিয়া সেতুর পিচের আস্তরণ একাধিক জায়গায় খারাপ হয়ে গিয়েছে। পিচের আস্তরণ তুলে ফেলে নতুন করে কাজ করার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। গরমকাল কেটে গেলেই আসবে বর্ষা। সেক্ষেত্রে প্যাচ ওয়ার্ক না করে বড় কাজই করা হবে বলেই জানা যাচ্ছে। গার্ডারেরও কিছু কাজ করতে হবে।

 

সূত্রের খবর, শিয়ালদা ও ঢাকুরিয়া সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট ইতিমধ্য়েই জমা পড়়েছে। তার ভিত্তিতে কোন ক্ষেত্রে সংস্কার করা প্রয়োজন সেটা সবার আগে দেখা হবে। তবে এই দুটি সেতুর পাশাপাশি কলকাতা শহরেও একাধিক সেতু রয়েছে । সেই সেতুগুলির মধ্য়ে অন্য়তম হল বাঘাযতীন সেতু, বিজন সেতু, দুর্গাপুর সেতু, করুণাময়ী সেতু, চেতলা সেতু, আম্বেদকর সেতু, চিৎপুর খালের ওপরে থাকা সেতুর পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তবে সেই সেতু সংক্রান্ত আগের যে রিপোর্ট জমা পড়েছিল সেখানে অবশ্য এই সেতুগুলির হাল খারাপ, বা এগুলির এখনই সংস্কার করা দরকার এমন কোনও সুপারিশ ছিল না।

 

আরও পড়ুন: Radhika Merchant: হীরের গয়না, চোখ ধাঁধানো গাউনে আম্বানির ছোট বউ, দেখে চোখ ধাঁধাবেই