Store No.6 new clothes collection

ফ্যাশন দুনিয়ায় এখন ‘আন্তর্জাতিক’ ব্র্যান্ড হয়ে উঠেছে কলকাতার “স্টোর নং ৬” (Store No.6), পোশাক-সম্ভারে এবং বেচাকেনায় বিশ্বজনীন ব্যাপ্তি

“স্টোর নং ৬”। কলকাতার বুটিক। কিন্তু পোশাক-সম্ভারে এবং বেচাকেনায় ‘আন্তর্জাতিক’ হয়ে উঠেছে কলকাতার এই ফ্যাশন স্টোর।  দেশে-বিদেশে ক্রমশই চাহিদা বাড়ছে ‘স্টোর নং ৬’-এর পোশাকের। সামান্য একটা বুটিক থেকে আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড হয়ে ওঠার পেছনে আছে এক তরুণী বাঙালির সৃজনশীলতা। তিনি স্রোতস্বিনী মজুমদার। ‘স্টোর নং ৬’-এর মালকিন।

store no 6 new shari collection
store no 6 new collection

স্রোতস্বিনী নিজে একজন প্রতিভাবান ফ্যাশন ডিজাইনার। বয়সে তরুণী হলেও তাঁর চিন্তা-ভাবনায় রয়েছে সৃজনশীল স্বাতন্ত্র্য। মূলত ডিজাইনার ব্লাউজ আর শাড়িতে নিজের একটা আলাদা জায়গা করে নিয়েছে ‘স্টোর নং ৬'(Store No.6)। সাধারণ মানুষের সাধ্যের মধ্যে ব্লাউজের এমন  অভিনব বিন্যাস, প্যাটার্ন-শোভা, সৃজনশীলতার আভিজাত্য কলকাতা আগে কখনও দেখেনি। শাড়ির এমন বাহারি-শোভা, কাপড়ের জমি-রঙ-ডিজাইনের এমন মেধাবী মিশেল বড় একটা চোখে পড়েনি। শাড়ি-ব্লাউজের এই অভিনব স্টাইলের আকর্ষণ বিশ্বজনীন।

store no 6 new shari collection
store no 6 collection

আরও পড়ুনঃ Riddhi Sen: কৌশিকের জন্মদিনে ঋদ্ধির আবেগপ্রবণ পোস্ট

 

শুধু ডিজাইন নয়, পরিধানের আরামেও এদের পোশাকের জুড়ি মেলা ভার। তাই কলকাতার গন্ডি পেড়িয়ে ‘স্টোর নং ৬’ এখন বিশ্বের দোর গোড়ায়। শুধু শাড়ি-ব্লাউজ নয়, মহিলাদের যে কোনও পোশাক আপনার পছন্দ মত বানিয়ে দেবে ‘স্টোর নং ৬’। একেবারে সাধ্যমত দামে! ডিজাইনার শাড়ি-ব্লাউজ মাত্রই যে আকাশ-ছোঁয়া দাম, এই মিথ ভেঙেছে কলকাতার ‘স্টোর নং ৬’। এবার প্রশ্ন উঠতে পারে, যিনি আমেরিকায় থাকেন কিংবা লন্ডনে, তিনি কীভাবে নিজের মাপ মত ব্লাউজ বা কাস্টমাইজড পোশাক পাবেন? এটাই ‘স্টোর নং ৬’-এর ম্যাজিক। পৃথিবীর যে কোনও প্রান্তে বসে আপনি অর্ডার করলে আপনার মাপ মত আপনার বাড়িতে পোশাক পৌঁছে দেবে ‘স্টোর নং ৬’, আর এটাই আর পাঁচটা বুটিক থেকে আলাদা করে দিয়েছে এই বুটিককে। কলকাতায় বসেই এক বাঙালিনির বিশ্বজয় বলা যেতে পারে। বিশ্ব ফ্যাশন দুনিয়ায় ‘স্টোর নং ৬’ এখন অত্যন্ত পরিচিত একটি ই-কমার্স আপ্যারাল প্ল্যাটফর্ম। আর তার যাবতীয় কর্মকান্ড খোদ কলকাতাতেই।

store no 6 new shari collection
store no 6 new collection

‘স্টোর নং ৬’ আরও একটি কারণে নিজের স্বাতন্ত্র্য তৈরি করেছে। পুরো স্টোরটা চালাচ্ছে মেয়েরাই। একটা বুটিকের জুতো সেলাই থেকে চন্ডী পাঠ সব কিছু সামলাচ্ছে মেয়েরা। স্রোতস্বিনীর তত্ত্বাবধানে সমস্ত মেয়েরা বুনছে পোশাকের রূপকথা, আর তা পৌঁছে যাচ্ছে বিশ্বের  কোনায় কোনায়।