কলকাতা: গত ২৫ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য আরও ৪ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নতুন হারে ডিএ সহ বাড়তি অঙ্কের বেতন অ্যাকাউন্টে ঢোকায় স্বাভাবিক ভাবেই খুশি তারা। গত ডিসেম্বর মাস পর্যন্তও ৬ শতাংশ হারে ডিএ পেয়েছেন সরকারি কর্মচারীরা। গত মাসের ঘোষণার পর এ মাস থেকে শুরু হল ১০ শতাংশ হারে ডিএ। মঙ্গলের সকালেই অধিকাংশ রাজ্য সরকারি কর্মীর ফোনে নোটিফিকেশন এসছে DA সহ বর্ধিত বেতনের। সকাল ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে বেতন ঢুকে গিয়েছে তাদের।

 

কর্মচারীদের বেসিক মাইনের উপর ডিএ হিসেব হয়। এ মাস থেকে যে যাঁর বেসিক মাইনের ১০ শতাংশ হারে ডিএ পাচ্ছেন। যেমন, ধরা যাক, রাজ্যের গ্রুপ ডি কর্মচারীদের ন্যূনতম বেসিক ১৭,০০০ টাকা। নতুন হারে তাঁরা তাই ন্যূনতম ১৭০০ টাকা ডিএ হিসেবে পাবেন। ঠিক একইভাবে রাজ্যের গ্রুপ সি কর্মচারীরা পাবেন ন্যূনতম ২২৭০ টাকা। গ্রুপ এ কর্মচারিদের ক্ষেত্রে আবার ভাগ রয়েছে। এই গ্রুপে ন্যূনতম বেসিক মাইনের দু-তিনটি স্তর রয়েছে। রোপা ২০১৯-র পে ম্যাট্রিক্স অনুযায়ী, ন্যূনতম ৩৯,৯০০ টাকা বেসিক মাইনে যে লেভেলের, তাঁরা যেমন ডিএ পাবেন ন্যূনতম ৩৯৯০ টাকা তেমনি ৫৬,১০০ টাকা বেসিক হলে ডিএ পাবেন ৫৬১০ টাকা। দুই লেভেলই গ্রুপ -এ এর মধ্যেই পড়ে। তবে প্রতি গ্রুপেই কর্মচারীদের চাকরির বয়স অনুযায়ী তাঁদের বেসিক মাইনে নির্দিষ্ট রেঞ্জের মধ্যে বাড়তে থাকে। তাই নতুন হারে ডিএ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে একই গ্রুপের সকল কর্মচারীরই যে একই টাকার অঙ্ক বাড়বে, তা নয়। তবে দেখা গিয়েছে, গড়ে ৯০০ টাকা বেড়েছে। যদিও কর্মীদের একাংশের বক্তব্য, এই বাজারে সামান্য ওই কটা টাকা বাড়িয়ে কী লাভ হবে? আর এটা তো প্রাপ্য। রাজ্য আর কেন্দ্রের ফারাক সেই থেকেই যাচ্ছে।