দ্রুত গতিতে বাড়ছে ক্যানসার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) পরিসংখ্যান অনুযায়ী , প্রতি বছর ৯৬ লক্ষ মানুষ এই অসুখে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারান। এমনকী শুধু ভারতেই বছর শেষে ক্যানসারে আক্রান্ত রোগী মৃত্যুর সংখ্যা ৮ লাখের কাছে। প্রতিদিনের হিসাবে প্রায় ২১০০ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়ে রোজ প্রাণ হারান। এই পরিসংখ্যান দেখেই চমকে উঠছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ৫০ শতাংশ ক্যানসার লাইফস্টাইল ও বদভ্যাসজনিত কারণে শরীরে বাসা বাঁধে। তাই ক্যানসারের ফাঁদ থেকে বাঁচতে কিছু পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। কিছু পরামর্শ মেনে চললেই রোগের ফাঁদে পড়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমবে।

 

  • মদ্যপান: জীবনকে চিয়ার্স বলতে চাইলে গ্লাসে গ্লাসে চিয়ার্স বলা চলবে না। সর্বনাশা মদ্যপানে শুধু মানুষের সামাজিক জীবন নয়, স্বাস্থ্যেরও বাজে বারোটা। এমনকী অ্যালকোহলের নেশায় বুঁদ হয়ে প্রতিবছর ৭.৪০ লাখ লোক এই রোগে আক্রান্ত হন। এই প্রসঙ্গে WHO জানাচ্ছে, অ্যালকোহল সরাসরি সাত ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায় এবং এই তালিকায় রয়েছে শ্বাসনালী, লিভার, পায়ু ও স্তন ক্যানসারও।

 

  • ধূমপান নৈব নৈব চ: ধূমপানের মতো ক্ষতিকর আর কিছুই নেই। আর এই নেশা যে কতটা সর্বনাশা, তা জানলে আপনিও চমকে উঠবেন। বিশেষজ্ঞদের মতে,  তামাকে ৭ হাজার রকমের রাসায়নিক আছে। যার মধ্যে ৯৮টা  নিশ্চিতভাবে ক্যানসারের জন্য দায়ী। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সিগারেট, গুটখা এবং অন্যান্য় তামাকজাত দ্রব্য খাওয়ার কারণে বছরে প্রায় ৮০ লাখ মানুষ অকালেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন। তাই সুস্থ থাকতে সিগারেট সহ সব ধরনের তামাকের থেকে দূরত্ব তৈরি করে নিন।

 

  • শরীর চর্চা করুন: সুস্থ থাকতে ন্যূনতম শরীরচর্চা করতেই হবে। তাই দিনে অন্ততপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটুন, দৌড়ন, যোগা বা ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করুন। ব্যস, তাহলেই কেল্লাফতে। এমনকী সুগার-প্রেশারের মতো রোগও থাকবে কন্ট্রোলে।

 

  • সুষম আহার গ্রহণ করুন: বাড়িতে রান্না করে খাওয়ার পাশাপাশি ডায়েটে শাক-সবজি ও ফল রাখতে ভুলবেন না যেন। ফাস্ট ফুড, প্রসেসড ফুড, রেডি টু ইট খাবার ছেড়ে বাড়িতে রান্না করা স্বাস্থ্যকর পদ খেলেই ফিরবে শরীরের হাল। এমনকী বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।

 

  • ভ্যাকসিন সঞ্জীবনী: চিকিৎসা বিজ্ঞান এখনও ক্যানসারের প্রতিষেধক তৈরিতে সম্পূর্ণভাবে সফল না হলেও বেশি কিছু ক্ষেত্রে এসেছে উপযুক্ত ভ্যাকসিন। তাই ক্যানসারের ফাঁদ এড়াতে চাইলে আজই হেপাটাইটিস বি এবং হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়ে নিন। তাতেই এই মারণ রোগের থেকে কিছুটা হলেও দূরত্ব বজায় রাখতে পারবেন।