পুজোর (Durga puja) আর ২৫ দিন। মণ্ডপ সজ্জা শুরু। কিন্তু পুজোর দিন গুলোতে পুজোর আসল ফ্লেভার আনে ঢাকের আওয়াজ আজ সেই ঢাকিদেরই কাজের অভাব। ইনফ্লেশনের যুগে জিনিসপত্রের দাম অনেক। তাই তেমন কাজের বায়না না পেয়ে পড়শি রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছে জলপাইগুড়ি বেশ কিছু ঢাকির দল।

পুজোয় (Durga puja) অতিরিক্ত রোজগারের আশায় পড়শি রাজ‍্য আসামে পাড়ি দিচ্ছে জলপাইগুড়ির বেশ কিছু ঢাকিদের দল। এবার পুজাতে সেখানকার মন্ডপেই তারা ঢাক বাজাবেন। শুধু এবার নয়, প্রতিবছরই কিছু বেশি রোজগারের আশায় এই দিন গুলোর অপেক্ষায় থাকেন জলপাইগুড়ির ওই ঢাকিরা।
বাংলার ঢাকি

জানা গেছে, বছরের অন্য সময়ে তাঁরা কেউ ভ্যান রিক্সা, কেউ দিনমজুরের কাজ করে থাকেন। বেশিরভাগ সময়ই নুন আনতে পান্তা ফুরোনোর অবস্থা। কিন্তু পুজো আসার বেশ কিছুটা আগে থেকেই সযত্নে তুলে রাখা ঢাক নামিয়ে বাজানোর প্র্যাকটিস শুরু করে দেন তারা। কারন ভিনরাজ‍্যে ভালো ঢাক বাজালে এরাজ‍্যের থেকে অন্তত মোটা বকশিস পাওয়া যায় বলেই এনাদের দাবী।

আরও পড়ুন : Shantiniketan : আবার বিতর্কে শান্তিনিকেতনের উপাচার্য

জলপাইগুড়ির ঢাকিরা বেশ আক্ষেপের সাথেই জানান, সরকারের কাছে পুজো (Durga puja) কমিটি গুলির কদর থাকলেও ঢাকিদের আপাতত কদর নেই। তবে কি কারণে ভিনরাজ‍্যে পাড়ি? বলেন, জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে ডাক আসত তাতে এক একটি দলকে দশ – বারো হাজার টাকা দিত। কিন্তু আসামে গেলে অন্তত এক একটি দলকে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা দেয়। তাই দুর্গা পুজোর কয়েকটা দিন বাড়ির বাইরে থাকতে কষ্ট হলেও বাড়তি আয়ের টাকায় পরের কয়েক মাস পরিবারে সচ্ছলতা আসে।