বিহারে প্রায় সাড়ে তিন লাখ চুক্তিভিত্তিক শিক্ষককে সরকারি কর্মীর মর্যাদা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল বিহার সরকার। মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে নেওয়া হয় এই সিদ্ধান্ত। মঙ্গলবার বিহারের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব এস সিদ্ধার্থ বলেন, ‘শীঘ্রই এই মর্মে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। গত কয়েক বছর ধরে এই রাজ্যে সরকারি স্কুলে কর্মরত  শিক্ষকদের এক্সক্লুসিভ শিক্ষক হিসেবে নির্বাচিত করা হবে।’ যা নিয়ে গোটা দেশজুড়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। ব্যতিক্রমী নয় বাংলাও। বিহারের এই ঘোষণায় বাংলার অস্থায়ী শিক্ষকরাও আশায় বুক বাঁধছেন।  কিছু সংগঠন অবশ্য সরকারের উপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।

 

বিহারের ঘোষণার পর পার্ট টাইম স্কুল টিচার্স অ্যান্ড এমপ্লয়িজ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন-এর সভাপতি লক্ষ্মীকান্ত মাইতি বলেন, ‘আমরা ২০১১ থেকে এই সরকারের কাছে আবেদন করছি কলেজের পার্ট টাইম প্রফেসরদের মতো আমরাও যাতে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত কাজের নিশ্চয়তা পাই এবং তাঁদের মত অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকি। রাজ্য সরকার এই বিষয়ে যাতে দ্রুত পদক্ষেপ করেন সেই আবেদন করছি।স্কুল ফান্ড থেকে আমরা যে বেতন পাই ১০০০-দেড় হাজার তা বৃদ্ধি হোক এমনটাই আবেদন। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এই শিক্ষকরা নামে পার্ট টাইম হলেও তাঁরা সপ্তাহে ছয় দিন ২৪ থেকে ২৮টা ক্লাস নেন এবং স্কুলের যাবতীয় কাজ করেন। তাই সরকারের উচিত নতুন বছরে তাঁদের যোগ্য মর্যাদা দেওয়া। আশা করি সরকারি ইতিবাচক ভূমিকা নেবে।’

 

পশ্চিমবঙ্গ NSQF শিক্ষক পরিবারের রাজ্য সম্পাদক  রাজ্য সরকারকে তোপ দেগেছেন। বিভিন্ন দুর্নীতি প্রসঙ্গ টেনে আনেন তিনি। তিনি বলেন, ‘বর্তমান রাজ্য সরকার কোনও সদিচ্ছা দেখাচ্ছে না। শিক্ষিতদের কম টাকা দিয়ে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ করা হয়েছে। এতে শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত যাঁরা NSQF বিভিন্ন বৃত্তিমূলক শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত তাঁদের যা ন্যূনতম বেতন পাওয়ার কথা তাও পাই না। স্থায়ীকরণ তো অনেক দূরের কথা। আমরা চাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে প্রতিশ্রুতি নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন তা পালন করুন।’